ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম দফায় শতাধিক আসনে ভোটগ্রহণের পর দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়েছিল ৮৮টি আসনে। আর তৃতীয় দফায় ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, দ্বিতীয় দফার ভোটের পরে দশ দিনের বিরতির শেষে মঙ্গলবার ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে চারটি আসনেও আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃতীয় পর্বের ভোটই কার্যত স্পষ্ট করে দেবে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতার কোনও পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না। পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচ বছর আগে হওয়া সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে এই ৯৩টি আসনের মধ্যে ৭১টি আসনে জিতেছিল বিজেপি শিবির। আর সেটি তাদের দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফেরা অনেকটাই নিশ্চিত করে দিয়েছিল।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ক্ষেত্রে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা যদি প্রথম দু’টি পর্বের মতো তৃতীয় দফায়ও শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে বিজেপির পক্ষে ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
এদিকে তৃতীয় দফায় যে দশটি রাজ্যে নির্বাচন হতে চলেছে, তাতে কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি আটটি রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। ফলে ওই রাজ্যগুলোতে লোকসভায় ভালো ফল করার জন্য সর্বাত্মক ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ভারতের এই হিন্দুত্ববাদী দলটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, তৃতীয় দফার ভোটে বিজেপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য হলো গুজরাট। ওই রাজ্যের ২৬টি আসনের মধ্যে ২৫টিতে আজ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজ্যটির সুরাট আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোটের আগেই জিতে গেছেন বিজেপি প্রার্থী।
মূলত গত দু’বারের মতো এ বারেও ওই রাজ্যে সব ক’টি আসন জেতার পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে বিজেপি।
এছাড়া বিজেপিকে চিন্তায় রেখেছে উত্তরপ্রদেশও। প্রথম দু’টি পর্বে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে দল হিসেবে বিজেপি আদৌ ভালো ফল করেছে কি না, তা নিয়ে রীতিমতো সংশয় রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
মহারাষ্ট্রের ১১টি আসনের পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের ৯টি আসনেও আজ ভোট। ওই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও সেখানে বিজেপি কর্মী ও মহিলাদের একাংশ প্রথম দু’টি ভোটে ঘর থেকে সে ভাবে বের হননি।
আর এতে রীতিমতো উৎসাহিত কংগ্রেস। দলটি মনে করছে, রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই পরিবর্তনের চাকা ঘুরতে শুরু করবে।
জেএন/এমআর