উপজেলা পরিষদের ভোটের আগের রাতে নোয়াখালী সুবর্ণচরে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিলি করার অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর শ্বশুরসহ চারজনকে আটক করে স্থানীয়রা। এরপর সেখানে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পুলিশ ও বিজিবি এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আতাহার ইশরাক স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চরবাটা কাজল মার্কেট এলাকায় একটি কালো রঙের গাড়িতে করে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা বিলি করছিলেন আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীর শ্বশুর শাহীন এবং এমপি একরামুলের এপিএস সুনীল বাবু। গাড়িটিসহ স্থানীয়রা তাঁদের আটক করে।
কাজল মার্কেট থেকে তাঁরা গাড়ি চালিয়ে সেন্টার বাজারে পৌঁছালে অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম সেলিমের সমর্থকেরা গাড়িটি আবার আটকায়। এ সময়ে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করেন এক ব্যক্তি।
পরে এমপি একরামুলের অনুসারীরা ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় খায়রুল আনম সেলিমের সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে আটক চারজনকে তাঁরা উদ্ধার করে নিয়ে যান।
আতাহার ইসরাকের সমর্থক এবং খায়রুল আনম সেলিমের সমর্থকদের মধ্যে মারামারিতে সেলিমের তিন সমর্থক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে ঘটনাস্থলে বিজিবি এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পরে খায়রুল আনম সেলিম সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য রাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে টাকা বিলি করার সময় স্থানীয়রা আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর শ্বশুরসহ কয়েকজনকে আটক করে। তাঁরা কেউ এ এলাকার ভোটারও নন। বহিরাগতরা আমার নির্বাচনী এলাকায় এসে টাকা বিলি করে ভোট কিনতে চাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আতহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া বলেন, স্থানীয়রা একটি গাড়ি আটক করলে সেখানে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ এবং বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
জেএন/এমআর