চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ির মালিককে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে ওই ভবনের ঠিকাদারসহ অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার খানাতুয়া এলাকার মনগাজী বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাছাড়া অপহৃত বাড়ির মালিক মো. হাসানকেও উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
গ্রেফতার চারজন হলেন মো. সবুজ আলাউদ্দিন (৩৫), মো. লিটন (৩৫), রুবেল হোসেন বাদশা (২১) ও আবদুল রহমান বাদল (২০)। তারা সবাই কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, ভিকটিম হাসান ও আলাউদ্দিন পূর্ব পরিচিত। হাসানের নির্মাণাধীন একটি ভবনের কন্ট্রাক্টর আলাউদ্দিন। কাজের সুবাধে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে।
ফেসবুক মারফত হাসানের সঙ্গে এক লোকের পরিচয় হয়, যিনি তাকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইউরোপের একটি দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন।
বিষয়টি আলাউদ্দিনকে জানালে তিনিও হাসানকে দিয়ে ওই লোককে কিছু টাকা পাঠান। কিন্তু পরে ওই লোক তাদের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তাই হাসানকে অপহরণ করে সে টাকা আদায় করার পরিকল্পনা ছিল আলাউদ্দিনের।
তার সে পরিকল্পনা মতে পরস্পরের ভালো সম্পর্কের সুবাদে বাড়ির মালিক হাসানকে তার কুমিল্লার বাড়িতে দাওয়াত করেন কন্ট্রাক্টর সবুজ। সরল বিশ্বাসে সবুজের বাড়িতে গেলে হাসানকে আটকে রেখে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে সবুজের টিম। দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা না দিলে হাসানকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় অপহরণকারী চক্র।
ভিকটিম হাসান বিষয়টি পুলিশকে জানালে, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বায়েজিদ থানা পুলিশের একটি টিম অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে।
বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত হাসানকে উদ্ধার করে এবং সবুজসহ অপহরণকারী চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় টিম বায়েজিদ।
আজ শুক্রবার এসব তথ্য নিশ্চিত করে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী কন্ট্রাক্টর আলাউদ্দিনসহ গ্রেফতার ৪ জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেএন/পিআর