আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন ও নির্বাচনে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভার শুরুতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা, রক্তপাত। কাজেই বিএনপির কাছে গোটা রাজধানীকে ছেড়ে দেয়া হলে জনগণের জানমালের সুরক্ষা ব্যাহত হতে পারে।
তিনি বলেন, ভুল আর মিথ্যার চোরাবালিতে আটকে বিএনপি কোনো কিছুই আদায় করতে পারবে না। আন্দোলন ও নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থতার পর বিএনপি আবারো আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
২০০৭ সালে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়েছে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের। বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সব নেতারা সমাবেশ থেকে পালিয়েছে। জনগণকে মাঠে নামানোর কথা বলে মাঠ ছেড়ে পালায় বিএনপি নেতারা।
‘তারা ভোটে আসেনা কারণ, বিএনপি ভোটারদের ভয় পায়। পরাজয়ের ভয়ে নির্বাচন বয়কট করে,’ যোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, জনগণের ইচ্ছায় আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসেছে, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের মদতে নয়।
বিএনপি কখনো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, সফলতাও আসবে।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র আছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বলেন, কোনো সংঘাতে আমরা জড়াবো না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। উপজেলা নির্বাচনে একটিও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। সেজন্য নির্বাচন কমিশন ও সরকার ধন্যবাদ পাওয়া উচিত।
বিএনপির ভোট বর্জনের ডাককে দলের নেতারাই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের দলের কেউ কাউকে মানে না।
বঙ্গবন্ধু কন্যার সময় স্থানী নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে। উপজেলা নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ভালো নয়, তবে সন্তোষজনক।
জেএন/পিআর