সেবা দেওয়ার মানসিকতা থাকলে সফলতা আসবেই। সেবা প্রত্যাশীদের মুখে হাসি ফুটানোই বাংলাদেশ পুলিশের অন্যতম লক্ষ্য। বলছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ ফাতির ইশরাক আরিয়ান এর ট্রলি ফিরে পাওয়ার গল্প।
সদ্য এইচএসসি পাশ করা শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফাতির ইশরাক আরিয়ান নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষে ১১ মে বিকাল সাড়ে ৫টায় বাস যোগে পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার মোড়ে এসে পৌঁছান। অলংকার মোড় থেকে সিএনজি যোগে খুলশী থানাধীন লেক ভিউ আবাসিক এলাকাস্থ আত্মীয়ের বাসায় বিশ্রামে নেন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর খুলশী কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে অপর এক সিএনজি যাহার রেজিঃ নং-চট্টমেট্রো-দ-১১-০৯৪৬ যোগে ঝাউতলাস্থ অপর এক আত্মীয়ের বাসায় যান। সেখান থেকে পুনরায় উক্ত সিএনজি যোগে ১১ মে রাত অনুমান ৮টায় আকবরশাহ্ থানাধীন তোতন হাউজিংয়ে এসে নেমে যান। সিএনজি থেকে নামার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি বুঝতে পারেন, নগদ বারো হাজার টাকা, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সমেত ট্রলিব্যাগটি সিএনজির পেছনেই ফেলে এসেছেন। হন্যে হয়ে উক্ত বিষয়ে আকবর শাহ্ থানায় সাধারন ডায়েরী নং-৬৭৪, তারিখ-১১/৫/২০২৪ দায়ের করেন।
উক্ত ডায়েরী লিপিবদ্ধ করার পর সিএমপি’র পশ্চিম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায়, এডিসি স্পিনা রানী প্রামাণিক ও পাহাড়তলী জোনের এসি মোঃ মঈনুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে আকবার শাহ্ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম রব্বানী এর নেতৃত্বে আকবরশাহ্ থানা পুলিশের একটি চৌকস আভিযানিক টিম গঠন করা হয়। উক্ত আভিযানিক টিম ঘটনাস্থলসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে সিএনজি নাম্বার সনাক্ত করেন। ” *আমার গাড়ি নিরাপদ”* ডাটাবেজের মাধ্যমে সিএনজির মালিক এবং ড্রাইভারের তথ্য সংগ্রহ করেন। অভিযোগের প্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মোহাম্মদ ফাতির ইশরাক আরিয়ান(১৯) এর গুরুত্বপূর্ণ মালামালের ট্রলিব্যাগটি উদ্ধার করেন এবং তাকে বুঝিয়ে দেন।
শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ফাতির ইশরাক আরিয়ান অনেক বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেলেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জেএন/এমআর