ভয়াবহ ধূলিঝড়ের কবলে পড়েছে মুম্বাই। এ সময় একটি দৈত্যাকার বিলবোর্ড ভেঙে পড়েছে। বিলবোর্ডের নিচে চাপা পড়ে অন্তত ১৪ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬০ জন। মঙ্গলবার (১৪ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দৈত্যাকার ওই বিলবোর্ডের নিচে অনেকে চাপা পড়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৬৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিলবোর্ডটি একটি পেট্রলপাম্পের ওপর ভেঙে পড়ে। এটি পাম্পের বিপরীত পাশে ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিলবোর্ডটি স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় বিলবোর্ডটি সেখানে স্থাপনের অনুমতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে নগর কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মুম্বাইয়ে হঠাৎ আকাশ কালো আকার ধারণ করে ভয়াবহ ঝড় শুরু হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় ধূলিঝড়। আর তাতেই বিশাল এ ধাতব বিলবোর্ড ভেঙে পড়লে অনেকে চাপা পড়েন। দুর্ঘটনার সময় পেট্রলপাম্পে বেশকিছু গাড়িও ছিল। বিলবোর্ডের ধাতব কাঠামো অনেক গাড়ির ছাদ ফুটো করে ভেতরে ঢুকে যায়।
দুর্ঘটনার পরই পুলিশ জানায়, বিলবোর্ডের নিচে অনেকে চাপা পড়ে থাকতে পারেন। ফলে তাৎক্ষণিক শুরু হয় উদ্ধার কাজ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে ধ্বংসস্তূপ সরান। বিলবোর্ডটির নিচে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন মারা যান। এ ছাড়া ৬৭ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
সোমবার বিকেলে ঝড়ের কিছুক্ষণ আগে মহারাষ্ট্র আবহাওয়া দপ্তর সতর্কবার্তা জারি করে। এতে মুম্বাই, পালঘর ও থানের বাসিন্দাদের আবহাওয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়। এর কয়েক মিনিট পর ঝড়ে শহর তছনছ হয়ে যায়। এ সময় দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যতে পৌঁছে যায়।
জেএন/এমআর