পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া প্রতিষ্ঠান চালানোর অভিযোগে গাজীপুরের ভাওয়াল রিসোর্ট, হোটেল এক্সসহ সাত প্রতিষ্ঠানকে দুই কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ভাওয়াল রিসোর্টকেই জরিমানা করা হয়েছে দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা। এছাড়া সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ছাড়পত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নয়ন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৪ মে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং কর্তৃক পরিবেশের ক্ষতি সাধনের দায়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ২ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও এসব প্রতিষ্ঠানকে ছাড়পত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরে বনের জমির দখল ও পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে দীর্ঘদিন ধরে ভাওয়াল রিসোর্ট ও হোটেল এক্স ব্যবসা করে আসছে। তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়াপত্রও নেননি। পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি গত কয়েক দিনে গাজীপুরে সাতটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে এবং নানা অনিয়ম পায়। এছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানই পরিবেশের ছাড়পত্র দেখাতে পারেনি। পরবর্তীতে গাজীপুরের সাতটি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের গত ১৪ মে তলব করা হয়।
সেখানে শুনানি শেষে গাজীপুর সদর উপজেলার নলজানি এলাকার ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা সেন্টারকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া রাজেন্দ্রপুর এলাকায় বনের জমিতে অবস্থিত হোটেল এক্সকে ১০ লাখ টাকা, গাজীপুর সদর উপজেলার ভবনীপুর এলাকা ইউনাইটেড শক্তি লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা, শিরিরচালা এলাকার কোয়ালিটি ইন্টিগ্রেটেড এগ্রো লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা, একই এলাকার মেঘনা অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা, ভবানীপুর এলাকার সোয়ান নিট কম্পোজিট লিমিটেডকে ১২ লাখ টাকা, একই এলাকার হলিকেয়ার ডায়গনস্টিক সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নয়ন মিয়া জানান, জরিমানার পাশাপাশি এ আদেশ প্রাপ্তির পর থেকে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জেএন/এমআর