বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বিজিবি।
দুই সীমান্তের প্রায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গায় সীমান্ত চৌকি ও স্থাপনাগুলোতে বিজিবির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া বাড়ানো হয়েছে সীমান্ত এলাকায় টহল ও নজরদারি। সীমান্ত এলাকায় বসানো সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি সীমান্ত থেকে শুরু করে তুমব্রু ঘুনধুম হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত পর্যন্ত এসব এলাকায় বিজিবির পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাত গত কয়েক দিনে ব্যাপক রূপ নেয়ায় সীমান্তে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য। এ
মন খবর আসার পর বর্ডার গার্ড বিজিবি নড়েচড়ে বসেছে। সীমান্তের ওপারে রাখাইনের মংডু ও বুচিডংসহ কয়েকটি উপশহরে গত কয়েক দিন থেকে সে দেশের সেনাবাহিনীর সাথে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকটি গ্রাম।
আরো জানা গেছে, বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে বিতাড়িত করছে আরাকান আর্মি। অন্যদিকে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর ব্যাপক বোমা হামলায় আতঙ্কে রোহিঙ্গারা নিরাপদ জায়গায় সরে গেছে।
কয়েক হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে।
এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে নজরদারি ও নিরাপত্তা আগের চেয়ে দ্বিগুণ জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জেএন/পিআর