খেপুপাড়া হয়ে বাংলাদেশে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

দেশজুড়ে ডেস্ক :

সাগরের জলরাশি থেকে জলীয়বাষ্প সংগ্রহ করে ক্রমাগত শক্তি বাড়িয়ে আজ রবিবার বিকেলের পর যেকোন সময়ে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে প্রবল গতিতে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’।

- Advertisement -

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশের পটুয়াখালীর খেপুপাড়া দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করবে।

- Advertisement -google news follower

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন একাত্তরকে বলেন, গত ২২ তারিখে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উত্তর, উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি বলেন, শনিবার বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিতে পারে।

রোববার এটি বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং ভারতের কিছু অংশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড়টির নাম নাম প্রস্তাব করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ ‘বালি’।

- Advertisement -islamibank

শনিবার সকালে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

সকাল ৯টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো।

এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদেরকে গভীর সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

সাগরে কোনো ঘূর্ণিবায়ুর চক্রে কেন্দ্রের কাছে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬২ কিলোমিটারের বেশি হলে তখন তাকে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার হলে তাকে ‘ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮৯-১১৭ কিলোমিটার হলে তাকে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১৮-২১৯ কিলোমিটার হলে তাকে ‘হারিকেনের গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়’ বলা হয়।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM