পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দুপুর দেড়টা থেকে চট্টগ্রামে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে কর্ণফুলী নদীতে বাড়ছে জোয়ারের পানি। নগরের অনেক নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২ নম্বর জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া নদীবন্দর সমূহকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা নুরুল করিম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে দমকা হাওয়া অব্যাহত আছে। ঘূর্ণিঝড়টি বিকেল নাগাদ উপকূল অতিক্রম করবে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি উচ্চতার জোয়ার হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে।’
এদিকে ঝড়ো হওয়া ও বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে চট্টগ্রাম নগরবাসী। মুষলধারে বর্ষণের কারণে সড়কে যানবাহন কম চলাচল করছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ।
জেএন/এমআর