কক্সবাজারের সদর এবং ঈদগাঁও উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরি বেশ কিছু অস্ত্র-সস্ত্রসহ ১৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
বুধবার মধ্যরাতে ঈদগাঁও উপজেলার ভাদিতলা এবং সদর উপজেলার কুলিয়াপাড়ায় পৃথক অভিযান চালানো হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি কিরিচ দা, একটি রামদা, তিনটি ছোরা, একটি কুড়াল, দুটি লোহার রড, দুটি লাঠি, তিনটি টর্চ লাইট, এক টুকরো লম্বা রশি, নয়টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- আসিফুর রহমান আসিফ (২১), মো. আব্দুল জলিল ওরফে কায়সার (২২), আব্দুল্লাহ আলম মুহিম (২৩), মো. নাহিম (২১), সাজ্জাদ মিয়া (২১), শাহরিয়াজ ওসমান হৃদয় (২০), মো. ইসমাইল উদ্দিন ওরফে গুরা মিয়া (২০), আব্দুল মালেক ওরফে মালেক (২৪), মো. পারভেজ (২৩), আব্দুল্লাহ খান (২৫), সৈয়দ হোছেন ওরফে সোনা মিয়া (২০), মো. আরিফ (২৪), সৈয়দুল করিম (২৫), আরাফাত উদ্দিন ওরফে সুজন (২১), খায়রুল বাশার ওরফে হাছান (২৬), মুজিবুর রহমান (৩৩) এবং মো. বাদল ওরফে বাহাদুর (২৮)। তারা সদর, চকরিয়া ও মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এসব তথ্য নিম্চিত করেন।
তিনি বলেন, বুধবার রাতে ঈদগাঁও উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাদিতলা এলাকায় চিকনপাতা গাছের বাগানে কতিপয় অস্ত্রধারী লোকজন ডাকাতির উদ্দেশে জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব।
র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সঙ্গে থাকা অস্ত্রসহ ১০/১৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, একই দিন রাতে কক্সবাজার শহরের পর্যটন এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের উদ্দেশে কতিপয় লোকজন সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ায় জড়ো হওয়ার খবর পায় র্যাব।
র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতদলের সদস্যরা দিগ্বিদিক্ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাদের কাছ থেকেও দেশীয় তৈরি কিছু অস্ত্র-সস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা সকলেই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য জানিয়ে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা আছে বললেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।
তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর ও ঈদগাঁও থানায় পৃথক আরও দুইটি মামলা হয়েছে জানান র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।
জেএন/পিআর