জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৪ এর আওতায় চট্টগ্রামে এবার জেলা ও মহানগরে ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ১শ ৭৯ জন শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এ তথ্য জানান।
সভায় জানানো হয়, সারা দেশের ন্যায় আগামী শনিবার চট্টগ্রামে ১৫ উপজেলার আট লাখ ৩১ হাজার ১৭৯ জন শিশু ও সিটি করপোরেশন এলাকার ৪১টি ওয়ার্ডে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার ১৫টি উপজেলার ২০০ ইউনিয়নের চার হাজার ৮৩২টি টিকা কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী ৯৪ হাজার ৪৭৭ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আইইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী সাত লাখ ৩৭ হাজার ৭০২ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আইইউ) খাওয়ানো হবে।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘ভ্রমণে থাকাকালীন সময়েও রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে স্থাপিত টিকাকেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে এই কর্মসূচি সফল করতে হবে।
ইতিমধ্যে ক্যাম্পেইন সফল করতে জেলা পর্যায়ে প্রচারণাসহ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন উপজেলাগুলোতে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বেচ্ছাসেবক ও মাঠকর্মী নিয়োজিত থাকবে। ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।’
সিভিল সার্জন আরও বলেন, ‘ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সব ধরনের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। ভরা পেটে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।’ তবে অসুস্থ কোনো বাচ্চাকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে ১ হাজার ৩২১ কেন্দ্রে ৫ লাখ ৪৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাসের ৮৫ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৪ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) চসিক জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইমাম হোসেন রানা।
জেএন/পিআর