ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ এখন পাওয়া না গেলেও ভারতে গিয়ে তিনি খুন হয়েছেন ধরে নিয়েই এগোচ্ছে সার্বিক তদন্ত। কলকাতারা নিউ টাউনের সঞ্জিবা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো তারই দেহাংশ বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। যদিও এরজন্য ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে।
এদিকে এমপি আনার হত্যার তদন্তে এবার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) বা ‘সিট’ গঠন করেছে ভারতের সিআইডি। সিআইডির আইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে এই টিম। পাশাপাশি আছেন ডিআইজি পদমর্যাদার তিন জন কর্মকর্তা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ইটিভি ভারতের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এমপি আনার নিখোঁজের সংবাদ প্রকাশের পর ঢাকা ও কলকাতা দুই জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হওয়া শিমুল ভূইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূইয়া ওরফে আমানুল্যা সাইদ, তানভীর ভূইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে দুই দফায় রিমান্ডে পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
দুই দেশে তদন্ত কর্মকর্তাদের জেরার মুখে আসামিরা আনারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেছে। দুই দেশেই হয়েছে দুইটি মামলা। তবে মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করলেও এখনও মরদেহ না পাওয়া যাওয়ার কারণে হত্যা মামলা দায়ের হয়নি। বাংলাদেশে দায়ের হওয়া মামলাটিতে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
জেএন/এমআর