যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়ায়নি। বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামার আগে বাংলাদেশের নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগ ছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি।
এ ম্যাচেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৬০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছাড়া আর কেউই ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি।
নিউইয়র্কের নাসাও কাউন্টি স্টেডিয়ামে ১৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলের বোর্ডে ১০ রান উঠতেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার, লিটন দাস আর নাজমুল হোসেন শান্ত। এর মধ্যে সৌম্য আর শান্ত রানের খাতাই খুলতে পারেননি। সৌম্য ২ বলে ০ আর শান্ত ৬ বলে করেন ০। অফফর্মে থাকা লিটন ৮ বলে ৬ করে বাজেভাবে ফেরেন বোল্ড হয়ে।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেটে মাত্র ২৭ রান তুললে ম্যাচ থেকে আদতে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয় আর তানজিদ হাসান তামিম হাল ধরার চেষ্টা করলেও টি-টোয়েন্টির খেলাটা খেলতে পারেননি। তামিম ১৮ বলে ১৭ করে হন হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার। বড় ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন হৃদয়, করেন ১৪ বলে ১৩।
এরপর দলের সবচেয়ে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন। যদিও জয়ের সুযোগ ছিল না বাংলাদেশের। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ গড়েন ৭৫ রানের জুটি।
সাকিব অবশ্য এই জুটিতে একদমই স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে আউট হন তিনি। ৩৪ বলে সাকিবের ২৮ রানের ধীরগতির ইনিংসে ছিল মাত্র দুটি বাউন্ডারির মার। ২৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৪০ করে স্বেচ্ছায় অবসরে যান মাহমুদউল্লাহ।
রিশাদ হোসেন ৫ আর জাকের আলী অনিক ফেরেন ০ করে। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১২২ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
ভারতের অর্শদীপ সিং আর শিভাম দুবে নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে ভারতের বিপক্ষে খুব একটা খারাপ করেননি বাংলাদেশের বোলাররা। রোহিত শর্মার দলকে ৫ উইকেটে ১৮২ রানে আটকে রাখেন শরিফুল-মেহেদীরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ১১ রানের মাথায় প্রথম আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। ৬ বলে ১ করে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন স্যামসন।
রোহিতও চড়ে বসতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহর শিকার হওয়ার আগে ১৯ বলে করেন ২৩। তবে মাঝে রিশাভ পান্ত আর সূর্যকুমার কুমার এবং শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটে চড়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় ভারত।
পান্ত ৩২ বলে ৪টি করে চার-ছক্কায় ৫৩ রান করে স্বেচ্ছায় অবসরে যান। সূর্যকুমার করেন ১৮ বলে ৩১। শেষদিকে হার্দিক ২৩ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় খেলেন ৪০ রানের হার না মানা ইনিংস।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শেখ মেহেদী হাসান। এই অফস্পিনার ৪ ওভারে ২২ রানে নেন একটি উইকেট। শরিফুল ৩.৫ ওভারে ২৬ রানে একটি, মাহমুদউল্লাহ ২ ওভারে ১৬ রানে একটি, তানভীর ইসলাম ২ ওভারে ২৯ রানে নেন একটি উইকেট।
সাকিব ছিলেন বেশ খরুচে। ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে একটি উইকেটও পাননি তিনি। রিশাদ ২ ওভারে ১৯ রান এবং তানজিম হাসান সাকিব ১.১ ওভারে দেন মাত্র ৬ রান। সৌম্য সরকারের ১ ওভারে খরচ ১১।
জেএন/এমআর