কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্বে কাবাব এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্টের সামনের দিকেই আসছিলেন যাত্রীবাহি একটি সিএনজি অটোরিকশা।
র্যাবের টহল টিম দেখে হঠাৎ গাড়ির গতি কমিয়ে দেওয়ায় সন্দেহ হয়। থামানোর সংকেত দেয় র্যাব।
গাড়িটি তল্লাশী চৌকিতে থামালে পিছনের সিটে বিশেষ কৌশলে রাখা একটি পাটের বস্তা থেকে ১৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
এসময় মাদক পাচারে জড়িত তিন কারবারিকে আটক করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটিও জব্দ করা হয়।
শনিবার (১ জুন) বিকেল ৫টার দিকে মাদকসহ আটকরা হলেন-কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার পিপড্ডা গ্রামের মৃত জহিরুল হকের ছেলে ছোটন (২৮), একই জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার দুর্গাপুর গ্রামের মৃত ওবায়দুল হকের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম (৩৮) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার বড় গাংগাইল গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪০)।
রবিবার (২ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরীফ-উল-আলম।
তিনি জানান, আটক তিনজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায়, কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্প মূল্যে ফেনসিডিলগুলো সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
আটকরা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজশে মাদকদ্রব্য কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে এনে জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের কাছে অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছেন।
আনুমানিক দুই লাখ টাকা মূল্যের ফেনসিডিলের চালানসহ আটক তিন মাদক কারবারিকে চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে জানালেন র্যাব কর্মকর্তা মো. শরীফ-উল-আলম।
জেএন/পিআর