চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সীমান্তবর্তী ফটিকছড়ি উপজেলাধীন চাইল্যেচরে ইউপিডিএফ প্রসীত মূলদলের সাবেক এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা।
শনিবার (১ জুন) গভীর রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার ছাইল্লাচ্ছর নামক এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে গুরুতর আহত হয়েছেন নিহতের মা।
নিহতের নাম রেদাসে মার্মা (২৫) ওরফে আনুমং। সে মানিকছড়ি সীমান্তবর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চন নগর ইউপি’র চাইল্যেচর ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিদু মার্মার ছেলে।
জানা গেছে নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পালিয়ে যাওয়ার সময় এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করলে রেদাসে মার্মার মাতা হ্লামাপ্রু মার্মা (৬৫) গুলিবিদ্ধ হয়।
গুলিবিদ্ধ নারীকে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফটিকছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) আবু জাফর বলেন- খবর পেয়ে নিহতের বাড়িতে যাবার আগেই তাদের ধর্মের নিয়মানুযায়ী তার শেষকৃর্ত্য করে ফেলেছে। লিখিত কোন অভিযোগ বা মামলা করেনি নিহতের পরিবার।
ইউপিডিএফ মিডিয়া উইং জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক বর্মা গ্রুপের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর একটি অংশ ২০১৭ সালে ইউপিডিএফ এর চাঁদাবাজি ও কর্মী হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিদ্রোহ করে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক নামে দল গঠন করেন। এরপর থেকে এক দল অন্য দলের সদস্যদের হত্যার মিশনে নেমেছে।
মূলত চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী সংগঠন দুইটি রক্তারক্তি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তাদের এই হানাহানির শিকার হচ্ছে সাধারণ পাহাড়ি-বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী।
জেএন/পিআর