চট্টগ্রাম নগরীর নন্দকাননের রাইফেল ক্লাব, মুসাফির খানা মসজিদ মার্কেট, রেয়াজউদ্দিন বাজার ও চান্দগাঁও থানাধীন বেপারী পাড়াসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন মার্কেটেই চলছে ভেজাল ইলেকট্রনিক্স পণ্যের রমরমা বাণিজ্য। টিভি, ফ্রিজ, এলইডি লাইট, ফ্যানসহ সবকিছুতেই ভেজাল।
জানা যায়, চীন-ইন্দোনেশিয়া থেকে অতি নিম্নমানের পার্টস এনে নন্দকাননের আর এফ পুলিশ প্লাজাসহ নগরীর বিভিন্ন অলি-গলিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব ভেজাল ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি করে।
পরে নামি-দামি ব্র্যান্ডের লোগো লাগিয়ে বিক্রির উদ্দ্যেশে সাজিয়ে রাখা হয় দোকানে। এমন অনেক লোগো আছে যেগুলো সুক্ষভাবে খেয়াল না করলে ক্রেতা সাধারণের বোঝার কোন উপায় নেই।
আবার অনেকগুলো পণ্যে হুবুহু লোগো লাগিয়েও চলছে দীর্ঘদিনের ব্যবসা। এমন হরেক রকমের অভিযোগ জমা পড়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে।
অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) নগরীর নন্দকানন ও বেপারীপাড়ার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে তদারকিমূলক অভিযান চালায়।
চান্দগাঁও থানার বেপারী পাড়ার ফেদাখান সড়ক এলাকায় বিসমিল্লাহ ইলেক্ট্রনিক্সে দেখা যায় ভেজাল পণ্য। প্রতিষ্ঠানটিতে WALTON ব্র্যান্ডের নামে WATON নামের বৈদ্যুতিক পাখা বিক্রি হচ্ছিলো।
ওয়ালটনের লোগো নকল করে ফ্যান বিক্রির অপরাধে দোকান মালিককে অর্ধলক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
পরে আরেক গ্রাহকের অভিযোগে নগরের নন্দনকানন এলাকার মুসাফির খানা মসজিদ শপিং কমপ্লেক্সের জাহাঙ্গীর ইলেকট্রনিক্সে অভিযান চালায় টিম।
সেখানেও নকল লোগো ব্যবহার করে ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রির সত্যতা মেলে। প্রথমবারের মতো সতর্ক করে দিয়ে ওই প্রতিষ্টানকেও অর্ধ লক্ষ জরিমানা করে তদারকি টিম।
অভিযানের নের্তৃত্ব দেন ভোক্তা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্লাহ। এছাড়া অভিযানে অংশ নেন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক রানা দেবনাথ ও আনিসুর রহমান।
ভোক্তা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্লাহ জানান, তাদের কাছে অভিযোগ আসে, চট্টগ্রামের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে ‘ওয়াটন’ নামে একটি নন ব্র্যান্ডের পণ্য ‘ওয়ালটন’ পণ্য বলে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে আজ নগরীর বেপারি পাড়া ও নন্দকাননে অভিযান চালানো হয়। সত্যতাও মেলে অভিযানে।
জেনে শুনে ভেজাল পণ্য বিক্রি করার অপরাধে বেপাড়ি পাড়ার বিসমিল্লাহ ইলেক্ট্রনিক্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়। নন্দকাননে একই অপরাধে জাহাঙ্গীর ইলেকট্রনিক্স নামক দোকানকেও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এরূপ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ফয়েজ উল্লাহ।
জেএন/পিআর