২০১৮ সালে টানা ৭ মাস বৃহৎ ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন দেয় সরকার। যার ফলে মেধাবীরা নিজ যোগ্যতায় বিসিএস সহ সকল সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পায়।
কোটা দিয়ে লক্ষ লক্ষ উচ্চ শিক্ষিত বেকারকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য ফের মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল বরাদ্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবিতে আবারো মাঠে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ জুন) রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) তাৎক্ষণিক অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে সকল কোটা বাতিল হোক, বৈষম্যের অবসান হোক; সোনার বাংলা তোমার আমার সবার; কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক ইত্যাদি লিখা সংশ্লিষ্ট প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ পাঁচ বছরের বেশি সময় পর আদালত কোটা পুনর্বহাল করার রায় দেন। এখন সরকার যদি এই রায় গ্রহণ করে নেয় তাহলে আমাদের আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হবে।
আমরা সকল বৈষম্যের অবসান চাই। দরকার হলে লাগাতার আন্দোলন করবো, তবে এই কোটাকে মেনে নেবো না।
প্রসঙ্গত, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই দুই শ্রেণির নিয়োগে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সেটি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার (৫ জুন) এ রায় দেন।
জেএন/পিআর