রান্নার অন্যতম অনুষঙ্গ মসলার চাহিদা কোরবানির ঈদে বেড়ে যায়। আর এই সুযোগটাই নিয়ে থাকেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। ঈদের বাকি সপ্তাহখানেক। এরই মধ্যে সিন্ডিকেটের কারণে অস্থির হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের মসলার বাজার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে বিপুল পরিমাণ মসলা আমদানি হলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে দাম। এমন খবরে রীতিমতো অস্বস্থি্তেই আছেন জেলা প্রশাসনও।
ফলে মসলা জাতীয় পণ্যের উদ্ধগতির রশি টেনে ধরতে ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের মসলার বাজারে হানা দিয়েছে জেলা প্রশাসনের টিম।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) চান্দগাঁও সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউছুফ হাসানের নের্তৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়।
মসলার বাজারের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ঘুরে একটি বড় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানে এলাচের দামে বিশাল গড়শি পাওয়া যায়। এমনকি কৃষি বিপনন সংক্রান্ত লাইসেন্সও নেই কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে। প্রাথমিকভাবে দুটি প্রতিষ্ঠানকে এক লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউছুফ হাসান জানান, আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে মসলার বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে সে লক্ষ্যেই আজ খাতুনগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে গুলিস্তান ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানে দেখা যায়, তারা গত ১৫ এপ্রিলে আমদানীকৃত ও ২১ এপ্রিলে বন্দর থেকে ছাড় পাওয়া ১০টন এলাচের ক্রয়-বিক্রয়মূল্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান।
প্রতিষ্ঠানটি ১৪৫০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে এলাচ এনে তা খোলা বাজারে ২৭০০ থেকে ৩৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে কৃষি বিপনন সংক্রান্ত লাইসেন্সও নেই।
ফলে কৃষি বিপনন আইন অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে অধিক হারে মুনাফা করায় এবং কৃষি বিপনন সংক্রান্ত লাইসেন্স না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
তাছাড়া একই অভিযানে আল-আরব বাণিজ্যালয় নামে অপর এক প্রতিষ্ঠানে কৃষি বিপনন সংক্রান্ত লাইসেন্স না থাকায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউছুফ হাসান।
কৃষি বিপনন অধিদপ্তর চট্টগ্রামের কর্মকর্তা আবু বক্কর ও কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন।
জেএন/পিআর