অবিশ্বাস্য, অপ্রত্যাশিত বললেও হয়ত কম হয়ে যায়। বিশ্বকাপের সি গ্রুপ থেকে নিউজিল্যান্ড সুপার এইটের রেসে ছিটকে যাবে এমনটা কেউ হয়ত ভাবতেও পারেনি। ২০২১ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের সেমিফাইনালেও দেখেছিলেন অনেকেই। কিন্তু টানা দুই হারে নিউজিল্যান্ডের বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। কিউইরা সেমিফাইনালে যেতে পারে, তবে সেজন্য মেলাতে হবে অবিশ্বাস্য সব সমীকরণ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৩ রানের হারে কিউইদের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত। শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান। মিচেল সান্তনার তিনটি ছক্কার মার মারলেন। সর্বমোট ১৯ রান নিলেন। কিন্তু পরাজয় ঠেকানোর জন্য কোনোভাবেই সেটা যথেষ্ট হলো না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৩ রানে হেরে যেতে হলো নিউজিল্যান্ডকে।
কিউইদের হারিয়ে ‘সি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেলো নিউজিল্যান্ডের। উগান্ডা এবং পাপুয়া নিউগিনিকে যদি হারায়ও কিউইরা, তাতে কোনো লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
নিউজিল্যান্ডের সুপার এইটে যেতে আফগানিস্তানকে বাকি দুই ম্যাচেই হারতে হবে। যেখানে এক প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি। কখনো বিশ্বকাপে জয় না পাওয়া দলটি আফগানদের হারাবে– এমনটা প্রায় অসম্ভবই বটে। সবমিলিয়ে উইন্ডিজের কাছে হারে বিদায় নিশ্চিত। আর ৬ পয়েন্ট নিশ্চিত করে সুপার এইটে নাম লিখিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিশ্বকাপের ২৬তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ-নিউজিল্যান্ড। ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ছয়টায় অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি। মন্থর উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগে ব্যাট করে ১৫০ রানের লক্ষ্য দিলে তা ভালোভাবে শুরু করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। প্রথম ৭ ওভারে ৪৫ রান তুলতে গিয়ে হারায় ৩ উইকেট। যার মধ্যে একটি কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের।
কিউই অধিনায়ক মাত্র ১ রান করে স্পিনার গুড়াকেশ মোতির বলে উইকেটকিপার নিকোলাস পুরানের হাতে ক্যাচ দেন। এর আগে আউট হয়েছেন ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। রাচীন রবীন্দ্র ও ড্যারেল মিচেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দুজনেই ফিরেছেন ১১ ওভারের মধ্যে। তখন নিউজিল্যান্ডের রান ১১ ওভারে ৫ উইকেট ৬৩।
এরপর একাই লড়ে গেছেন গ্লেন ফিলিপস। ৩৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডকে কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন তিনি। আলজারি জোসেফ বল হাতে নিয়েছেন ১৯ রানের ৪ উইকেট। মোতি নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয় বাজেভাবে। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় দলটি। তুলতে পারে মাত্র ২৩ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পঞ্চম উইকেট হারায় ৩০ রানে। সেখান থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রানটা ১৪৯ পর্যন্ত একাই নিয়ে যান রাদারফোর্ড। ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ইনিংসের রাদারফোর্ডের ৬৮ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে নিকোলাস পুরানের ব্যাট থেকে, তিনি করেছেন মাত্র ১৭ রান।
জেএন/এমআর