২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের পর দ্বিতীয়বারের মতো সুপার এইটে পা রাখলো বাংলাদেশ।
নেপালকে ২১ রানে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটে উঠে গেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
লো স্কোরিং ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন পেস বোলার তানজিদ হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান।
সোমবার আগে ব্যাট করে ১৯.৩ ওভারে ১০৬ রানে অলআউট হয়। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানে অলআউট হয় নেপাল। ২১ রানের জয়ে সুপার এইটে উঠে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে নেপালের মতো তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের অসহায় আত্মসমর্পণের কারণে পুরো ২০ ওভার খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯.২ ওভারে মাত্র ১০৬ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের ৩৭তম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম বল থেকেই উইকেট হারাতে থাকে টাইগাররা।
সোমবার ভোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনের সেন্ট ভিসেন্টের অ্যারনস ভেল গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল।
ইনিংসের প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস।
ষষ্ঠ ওভারে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তরুণ তারকা ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়। নবম ওভারের শেষ বলে সাকিব আল হাসানের ভুল কলে রান আউট হয়ে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
১১.৪ ওভারে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সাবেক আরেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। মাত্র ৬১ রানে প্রথম সারির ৬ জন স্বীকৃত ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
দলীয় ৬৯ ও ৭৫ রানে ফেরেন পেস বোলার তানজিদ হাসান সাকিব ও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জাকের আলি অনিক। দলের এই ব্যাটিং বিপর্যয়ে হতাশ ভক্ত-সমর্থকরা।
অথচ এই ম্যাচটি বাংলাদেশ দলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই ম্যাচে জয় পেলেই বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলা নিশ্চিত হবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টাইগারদের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখে হতাশ দেশের ক্রিকেটপ্রেমিরা।
১২০ বলে ১০৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বিপাকে নেপাল। বাংলাদেশ দলের তরুণ তারকা পেসার তানজিম হাসান সাকিবের গতির মুখে পড়ে ৬.৬ ওভারে ২৬ রানে ৫ উইকেট হারাল নেপাল।
একাই ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তানজিম সাকিব। একটি উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কুশাল বুর্তালকে আউট বোল্ড করে দেন তানজিম সাকিব। ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন অনিল শাহ। পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে রোহিত পুডেলকেও আউট করেন তানজিম সাকিব।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নেপালের শিবিরে আঘাত হানেন তারকা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার গতির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আসিফ শেখ। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৫.৪ ওভারে ২৪ রানে ৪ উইকেট হারায় নেপাল।
এরপর নিজের শেষ এবং ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ বলে সুদীপ ঝারকে আউট করেন তানজিম সাকিব। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে ৪ উইকেট শিকার করেন।
অবশেষে নেপালের জুটি ভাঙতে পারল বাংলাদেশ। ২৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে ৫৮ বলে ৫২ রান করে নেপালের দুই ব্যাটসম্যান দীপেন্দ্র সিং আইরি ও কুশাল মালা। তাদের এই জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান।
ফিজের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন মালা। ফ্ল্যাড লাইটের অনেক ওপরে ওঠা সেই ক্যাচটি ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কুশাল মালার বিদায়ে ১৬.৪ ওভারে ৭৮ রানে ৬ উইকেট হারায় নেপাল।
জেএন/পিআর