চট্টগ্রামে চাহিদার তুলনায় কম গবাদি পশুর উৎপাদন নির্ধারণ করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। কর্তৃপক্ষ বলছে, স্থানীয় ও দেশীয় উৎপাদনের সমন্বয়ে চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৯৭টি বাজারে এবার কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে। চাহিদা রয়েছে ৬ লক্ষ ৫৫ হাজার। এরমধ্যে দেশি পশু রয়েছে ৫ লক্ষ ৮২ হাজার। রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা থেকে আসা পশুর মাধ্যমে ঘাটতি পূরণ করা হবে। এছাড়া বাহির থেকে আসছে প্রায় ২ লক্ষ গবাদি পশু।
এবারও নগরের সবচেয়ে বড় পশুর বাজার বসবে সাগরিকাতে। জনসাধারণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বেশকিছু বাজার একত্রিত করে বড় করা হয়েছে। স্থায়ী বাজারগুলোতে জেলা অধিদপ্তরের অধীনে মোবাইল কোর্ট এবং অস্থায়ী বাজারগুলোতে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জয়নিউজকে বলেন, চাহিদা ও সরবরাহের কথা মাথায় রেখে ৭০০টি খামারে গবাদি পশু রক্ষণাবেক্ষণ, ভালো ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেওয়া হচ্ছে। ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ৬২ শতাংশ। সার্বিক বিষয়ে নিয়মিত তদারকি রয়েছে। এর পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
সরবরাহ কম সত্ত্বেও কিভাবে চাহিদা পূরণ হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, গত দু’ বছর ধরে স্থানীয় এবং দেশীয় উৎপাদন বেড়েছে। ফলে মানুষ দেশে উৎপাদিত পশুর দিকে ছুটছে। বাহির থেকে আসা প্রায় ২ লক্ষ পশুর সব বিক্রি হয় না। আমরা সবসময় বাহির থেকে আসা পশুর বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছি। এরপরেও আসলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এদিকে, কোরবানি ঘনিয়ে আসায় বাজারগুলোতে গরু আসতে শুরু করেছে।
জয়নিউজ/আরসি