ফুটবলের সবচেয়ে পুরনো এবং ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকা ২০২১ আসরের ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে ২৮ বছর পর শিরোপা ঘরে তুলে ছিলো আর্জেন্টিনা।
শিরোপা ধরে রাখতে ২১ জুন থেকে স্বদলবলে প্রতিপক্ষের ওপর হামলে পড়বেন লিওনেল মেসি। টুর্নামেন্টটির উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও কানাডা।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার মার্সিডিজ-বেনজ স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২১ জুন) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬ টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি।আর্জেন্টাইন অধিনায়কের সামনে রয়েছে ৭টি নতুন রেকর্ডের হাতছানি।
কানাডার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মেসির সামনে যেসব রেকর্ড ভাঙার সুযোগ থাকছে তা একবার দেখে নেয়া যাক।
১. সাবেক বার্সেলোনা সুপারস্টার সামনে কোপার সর্বকালের সেরা গোলদাতা হওয়ার সুযোগ। আর মাত্র পাঁচটি গোল করলেই স্বদেশী নরবার্তো মেন্ডেজ এবং ব্রাজিলের জিজিনহোর ১৭ গোলের রেকর্ডটি টপকে যাবেন মেসি।
২. কানাডার বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে নামার সঙ্গে সঙ্গে কোপায় সর্বকালের সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়বেন মেসি। বর্তমানে ৩৪ ম্যাচ নিয়ে সার্জি লিভিংস্টোনের সঙ্গে যৌথ্যভাবে এই তালিকার শীর্ষে আছেন তিনি।
৩. প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে টানা ৭টি কোপা খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।
৪. শতবর্ষী কোপায় দুটি করে হ্যাটট্রিক করেছেন মাত্র ১০ জন ফুটবলার। আর একটি হ্যাটট্রিক করলে, এই তালিকায় নাম উঠবে তার।
৫. কোপা আমেরিকার এক আসরে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে তার। এ জন্য তাকে করতে হবে অন্তত ১০ গোল।
৬. শত বছরের এই টুর্নামেন্টে একই ফুটবলার পর পর দুবার জিততে পারেনি আসর সেরা পুরস্কার। ২০২১ সালে এই পুরস্কার জিতেছিলেন মেসি। এবার যদি এই পুরস্কার জিততে পারেন, তাহলে কোপার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তিনি এই রেকর্ডে নাম লেখাবেন।
৭. আর চারটি গোল করলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে ভাগ বসাবেন তিনি। অবশ্য এ নিয়ে হতে পারে ইঁদুর দৌড় খেলা। কারণ প্রায় একই সময়ে পর্তুগালের হয়ে ইউরো কাপ খেলতে নামবেন সি আর সেভেন।
জেএন/পিআর