দ্বিতীয়বার ইউরো জয়ের স্বপ্নপূরণের পথে আরও এক ধাপ পাড়ি দিল পর্তুগাল। তুরস্কের বিপক্ষে ৩-০ গোলের বড় জয় দিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট নিশ্চিত করলো রোনালদোরা। ম্যাচে রোনালদো নিজে গোল করতে না পারলেও ঠিকই ঝলক দেখিয়েছেন। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি তাঁর নামের পাশে না থাকলেও সেই গোলে যে পুরো অবদানটাই তাঁর।
এদিন ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই দুই দলের লড়াইয়ের আভাস থাকলেও সেই উত্তাপ দেখা যায়নি মাঠে। শেষ এক আত্নঘাতী গোলের সাথে ব্রুনো ফার্নান্দেস ও বার্নান্দো সিলভার গোলে জয়ের হাসি নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন রোনালদোরা।
২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। এবার গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে স্টপেজ টাইমের গোলে শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। আজ তুরস্কের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়ে নিশ্চিত ইউরোর নকআউট। দলীয় শক্তিতে পাওয়া দারুণ দুই জয়ে এখন ইউরোর নক আউট নিশ্চিত উপভোগ করছেন রোনালদো বাহিনী।
এদিকে ইউরোপ সেরার সর্বশেষ তিন আসরে তুরস্ক গ্রুপ পর্বে বিদায় নেওয়ায় এবার দ্বিতীয় ম্যাচেই তাদের সামনে সুযোগ ছিল পর্তুগালকে হারিয়ে শেষ ষোলো’তে যাওয়ার। কিন্তু বড় পরাজয়ে তুরস্কের সেই অপেক্ষা বাড়ছে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।
অপরদিকে এবারই প্রথম গ্রুপ পর্বের উদ্বোধনী ম্যাচে জয় পেয়েছে তুরস্ক। আজ পর্তুগালের কাছে হারলেও প্রথম ম্যাচে জর্জিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে এখনও শেষ ষোলো’র আশা দেখছে তুরস্ক।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই জমে উঠতে থাকে দুই দলের মাঠের লড়াই। মুহুর্মুহু আক্রমণের পসরা সাজাতে থাকে দুই দলই। ম্যাচের ৬ মিনিটেই মাঠের ডান দিক থেকে আক্রমণ করলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তুরস্ক।
এদিকে বল দখলের লড়াইয়ে পুরো ম্যাচেই আধিপত্য দেখায় রোনালদোরা। যার ফল, ম্যাচের ২১ মিনিটে বার্নান্দো সিলভার গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। এর ৭ মিনিট পর তুর্কি ফিফেন্ডারের অপ্রত্যাশিত ভুলে আবারও এগিয়ে যায় রোনালদোর পর্তুগাল।
রাউন্ড অব সিক্সটিন এর দৌড়ে ম্যাচের ২৮ মিনিটেই ব্যাবধান দ্বিগুণ করে ফেলে পর্তুগাল। দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর পর্তুগালের আক্রমণ যেন আরও বেড়ে যায়। রোনালদো-ব্রুনো ফার্নান্দেসরা তুরস্কের ডি বক্সে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে।
এদিকে পিছিয়ে থেকে বেশ কিছু আক্রমণে যায় তুরস্ক। কিন্ত জোড়াল আক্রমণ করতে না পারায় বারবার ব্যার্থ হতে থাকে তুরস্কের আক্রমণ ভাগ।
শেষ পর্যন্ত ২-০ এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে পর্তুগাল।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও আবারও আক্রমণাত্মক শুরু করে রোনালদোরা। ফলাফল পেতেও বেশি দেরি করতে হয়নি পর্তুগালকে। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে রোনালদোর দুর্দান্ত এসিস্টে ব্রুনো ফার্নান্দেসের গোলে ৩-০ তে এগিয়ে যায় পর্তুগীজরা।
এরপর আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। ম্যাচের বয়স যত বাড়তে থাকে পর্তুগালের আক্রমণ যেন ততই বেড়ে যায়। ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মহাতারকা রোনালদো। কিন্তু হেড থেকে গোল পেতে ব্যার্থ হন পর্তুগীজ সুপারস্টার।
এরপর ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিট পর্যন্ত দারুণ দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের বিশাল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রোনালদোর পর্তুগাল।
জেএন/এমআর