ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আড়াই মাসের বেশি বন্ধ থাকার পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা উঠল বান্দরবানের থানচি উপজেলায়। তবে এখনো রোয়াংছড়ি ও রুমা দুই উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
শনিবার (২২জুন) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন।
প্রশাসন তথ্য মতে, রবিবার থেকে থানচিতে কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হয়েছে। পর্যটক গাইডের কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।
পর্যটকরা সদর থেকে তমা তঙ্গী ও নৌ পথে তিন্দু বড় পাথর হয়ে রেমাক্রি মুখ পর্যন্ত যেতে পারবে। এটি ছাড়া পর্যটকরা অনান্য স্থানে ভ্রমণ করতে পারবে নাহ।
জানা গেছে, পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি-অস্ত্র লুটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি নিষেধাজ্ঞা দেয় প্রশাসন।
এরপর থেকে উপজেলা গুলোতে ব্যবসা ধ্বসের পাশাপাশি পর্যটক গাইডরা বিপাকে পড়ে যায়। বন্ধ হয়ে আয়ের উৎস পথ।
এর আগেও দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে আলীকদমসহ চার উপজেলা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে থানচি উপজেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার তুলে নিয়েছেন প্রশাসন। এতে কিছুটা আয়ের পথ খোলাতে খুশী সকলেই।
থানচি গাইডের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, তিন মাসের কাছাকাছি সব পর্যটন স্পট থাকার পর আজ বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসন থেকে গাইড সমিতির সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কোথায় যেতে পারবে আর কোথায় যেতে পারবে না।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন, রোববার থেকে পর্যটকরা স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদিত পর্যটন স্পটে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
তমা তঙ্গী, তিন্দুর বড় পাথর হয়ে রেমাক্রি মুখ পর্যন্ত পর্যটন স্পটে যেতে পারবেন। নিরাপত্তার কারণে এর বাইরে যাওয়া যাবে না।
জেএন/পিআর