লাইপজিগে শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াই। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ আর হলুদকার্ডের ছড়াছড়ি। অবশেষে ইতালির মুখে আনন্দের কান্না। আর চিৎ হয়ে শুয়ে ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারদের আর্তনাদ। রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে মাঠে দুই দলের ফুটবলারদের লুটিয়ে পড়া আর গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের আবেগঘন মুখভঙ্গি যেন পুরো ইউরোপে দারুণ এক অনুভূতি তৈরি করলো।
৫৫ মিনিটে লুকা মদ্রিচের করা গোল শেষ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার জন্য যথেষ্ট হলো না। শেষ মুহূর্তে গোল (১-১) করে ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে ইতালি। এক পয়েন্ট আদায় করে শেষ ষোলোয় জায়গা নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অপরদিকে ২ পয়েন্ট হারিয়ে বিদায়ের শেষ লগ্নে চলে গেছে ক্রোয়েশিয়া।
প্রথমার্ধে কঠিন লড়াইয়ে মেতেছিল দুই দল। অসাধারণ রক্ষণের সঙ্গে আক্রমণেও খেলা জমে উঠেছিল। তবে এই অর্ধে গোল পায়নি কোনো দল।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে কাঙ্ক্ষিত সোনার হরিণের দেখা পেয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। ৫২ মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে ইতালির মিডফিল্ডার ডেভিডে ফ্রাটেসির হ্যান্ডবল হলে ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
পেনাল্টি শট নেন মদ্রিচ। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ান এই মিডফিল্ডারের শট রুখে দেন ইতালির গোলরক্ষক গিয়ানলুইগি ডোনারুমা। তবে ডোনারুমার হাত ফসকে বল বেরিয়ে গেলে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায়ও গোল করতে ব্যর্থ হন আন্টে বুদিমির। তৃতীয়বারের চেষ্টায় বাঁপায়ের শটে গোল করেন মদ্রিচ।
৩৮ বছর ২৮৯ দিন বয়সে গোল করে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বয়োজৈষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোল করার কীর্তি গড়েন মদ্রিচ। যদিও দারুণ এই রেকর্ড উদযাপন বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া।
৫৫ মিনিটের লিড ম্যাচের ৯৮ মিনিট পর্যন্ত ধরে রেখেছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মাতিয়া জ্যাকাগনির ডানপায়ের জোরালো শটে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায় ক্রোয়েশিয়ার। মদ্রিচের স্বপ্ন ভাঙায় সহায়তা করেন রিকার্ডো ক্যালিফিওরি।
জেএন/এমআর