ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ক্যান্টিনে খাবারের মধ্যে ১০ টাকার একটি নোট পাওয়া গেছে। দুপুরের খাবারে খাসির কলিজা-ফুসফুসের তরকারিতে ১০ টাকার একটি নোট দেখতে পান হলেরই এক শিক্ষার্থী। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্যান্টিন মালিক ওই ছাত্রের কাছে ক্ষমা চান।
শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে হলের ছাত্র কাজী শামীম ক্যান্টিনে খাবার খেতে গিয়ে তরকারিতে ১০ টাকার একটি নোট দেখতে পান। এসময় তিনি টাকার ছবি তুলেন এবং ক্যান্টিন মালিককে অবহিত করেন।
বিষয়টি কিছুক্ষণ পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ নামক ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া হলে মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়। এসময় নেটিজেনরা হল প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও ক্যান্টিন মালিকের অবহেলা নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
তরকারিতে টাকা পাওয়া ওই শিক্ষার্থী হলেন কাজী শামীম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, দুপুরে খেতে গিয়ে খাসির মাংস অর্ডার করি। এটার দাম ৫৫ টাকা। খাবার পাওয়ার পর হাত দিয়েই দেখি ভেতরে একটি ১০ টাকার নোট। পরে পরিচালককে জিজ্ঞেস করলে তিনি ‘স্যরি’ বলে খাবার রিপ্লেস করে দেন। এটা যেভাবে ছিল, মনে হয়েছে টাকাসহ রান্না করা হয়েছে।
তবে ভিড়ের মাঝে কারো কাছ থেকে নোটটি খাবারে পড়েছে উল্লেখ করে ক্যান্টিনের মালিক রিপন মোহাম্মদ বলেন, নামাজের পর অনেক চাপ থাকে। সবাই একসঙ্গে খেতে আসে। ভিড়ের মধ্যে কারো কাছ থেকে ভুলে তরকারির মধ্যে নোটটি পড়ে গেছে। এজন্য আমি দুঃখিত।
ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া পোস্টের কমেন্টে প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান বলেন, উনি আমার পাশেই বসেছিলেন, দেখলাম ছবি তুললেন কিন্তু টাকা যে ছিল খেয়াল করিনি, পরে নিজেই বলছেন টাকা পেয়েছেন।
মারিয়াম আক্তার রুমি বলেন, আলুর দাম বাড়ায় মুহসীন হল ক্যান্টিনে আলুর তরকারির সাথে ক্যাশব্যাক অফার চলতেছে! মাশাআল্লাহ ছাত্রবান্ধব হল প্রশাসন।
মো. সিফাতুল্লাহ তাসনিম বলেন, অবশেষে দানবীরের (হাজী মুহম্মদ মুহসীন) নামের হল সফলতার মুখ দেখতে শুরু করলো। ধন্যবাদ ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষকে। কর্তৃপক্ষ যদিও আমার এই কমেন্ট দেখবে না, তারপরও অনুরোধ থাকবে যাতে করে কোনো কয়েন এভাবে খাবারের মধ্যে না চলে আসে! আমরা চাই, বেশি বেশি নোট আসুক!
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেএন/এমআর