সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডেও বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের মাধ্যমে
শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা।
আজ রোববার (৩০ জুন) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবার ২৩৮টি কলেজের এক লাখ ৬ হাজার ৩৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
মহানগরসহ জেলার মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৭৬ হাজার ১৭৯ জন, যার মধ্যে ৩৪ হাজার ৯৭৯ জন ছাত্র আর ৪১ হাজার ২০০ জন ছাত্রী।
শুধু মহানগরে পরীক্ষার্থী ৩৭ হাজার ৪৯২ জন, যার মধ্যে ছাত্র ১৮ হাজার ১৩৬ জন এবং ছাত্রী ১৯ হাজার ৩৫৬ জন।
এছাড়া কক্সবাজার জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৬৩ জন, যার মধ্যে ছাত্র পাঁচ হাজার ৫৭৪ এবং ছাত্রী সাত হাজার ৮৮৯ জন।
রাঙামাটিতে পাঁচ হাজার ৬৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র দুই হাজার ৬৬২ জন এবং ছাত্রী তিন হাজার একজন। খাগড়াছড়িতে ছয় হাজার ৭২৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র তিন হাজার ১৬২ ও ছাত্রী তিন হাজার ৫৬৫ জন।
বান্দরবান জেলায় চার হাজার দুইজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র এক হাজার ৯৫৫ জন এবং ছাত্রী দুই হাজার ৪৭ জন।
মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ১১৫টি। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৬৯টি, কক্সবাজারে ১৮টি, রাঙামাটিতে ১০টি, খাগড়াছড়িতে ১০টি ও বান্দরবানে ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে।
এদিকে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণ করার নির্দেশনা মেনে সকাল থেকেই অনেক অভিভাবক সন্তানকে নিয়ে রওনা হতে দেখা গেছে।
তবে ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও জলজটে তাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এর সঙ্গে যোগ হয় পরিবহন সংকট।
পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ৩৮টি বিশেষ ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও ৬০ টি সাধারণ ভিজিল্যান্স টিম কাজ করছে বলে জানালেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান।
বলেন, প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে৷ প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বোর্ড থেকে সর্বোচ্চ সর্তকতা রয়েছে।
সকাল পৌণে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনও কেন্দ্র থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি,এমনটাই জানালেন শিক্ষা বোর্ড সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথ। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোন কোন পরীক্ষা কেন্দ্রে কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সামান্য দেরি হয়েছে। তাদেরকে সময় বাড়িয়ে দেয়া হবে।
জেএন/পিআর