স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড

অনলাইন ডেস্ক

স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে এ যাবতকালে কোনদিন হারের মুখ দেখেনি ইংল্যান্ড। তাদের দলে রয়েছে প্রতিভাবান ফুটবলারদের ছড়াছড়ি। কিন্তু দল হিসেবে ইংলিশরা কেন যেন খেই হারিয়ে ফেলছিল প্রতি ম্যাচে। স্লোভাকিয়ার বিপক্ষেও দেখা গেল সেই প্রতিচ্ছবি। প্রথমার্ধে গোল হজম করে মূল সময় শেষ হয়ে গেলেও সেই গোল শোধ করতে পারেনি তারা।

- Advertisement -

শেষ মুহূর্তে দুর্দান্ত বাইসাইকেল শটে সমতা আনেন জুড বেলিংহ্যাম। এতে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে যায় ইংলিশরা। অবশেষে ১২০ মিনিটের খেলায় এই ব্যবধানেই জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।

- Advertisement -google news follower

ম্যাচের শুরু থেকে সবাই ভেবেছিল ইংলিশরা চাপে রেখে খেলবে স্লোভাকদের বিপক্ষে। কিন্তু বল দখলে এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ তৈরি করেছে বেশি স্লোভাকিয়াই।

ম্যাচের ৫ম মিনিটেই প্রথম গোলের সুযোগ পায় স্লোভাকিয়া। কিন্তু ডেভিড স্ট্রেলেকের ভলি শট সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। ১০ মিনিটের মাথায় বেলিংহ্যামের ক্রস থেকে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন ট্রিপিয়ার। কিন্তু তিনি বল মারেন অনেক উপর দিয়ে।

- Advertisement -islamibank

এর মাঝে দুই দল বেশ পেশীশক্তির প্রদর্শনী দেখাতে থাকে। ১৮ মিনিটেই রেফারি চারটি হলুদ কার্ড দেখান। যা ১৯৮০ সালের পর ইউরোর কোনো ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে চার হলুদ কার্ড দেখানোর রেকর্ড।

২৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পান ইংল্যান্ডের বায়ার্ন মিউনিখ তারকা হ্যারি কেইন। ডি-বক্সের ভেতর তার শট দারুণভাবে ব্লক করে দেয় স্লোভাক ডিফেন্ডাররা। এই সুযোগে কাউন্টার এটাক থেকে ডেভিড স্ট্রেলেকের বাড়ানো বল থেকে ডি-বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের সোজাসুজি শটে গোল করে স্লোভাকিয়াকে অবিশ্বাস্যভাবে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন ইভান শ্রানজ।

এই গোলের মাধ্যমে এবারের ইউরোতে ৩ গোল করে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় উপরে উঠে আসলেন শ্রানজ। ৩৯ মিনিটে গোলের চেষ্টা করেছিলেন ইংল্যান্ডের ডেকলান রাইস। তবে তার হেড রুখে দেয় ডিফেন্ডাররা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোলমুখে শট নিতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্লোভাকিয়া।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৫০ মিনিটেই ট্রিপিয়ারের দারুণ ক্রসে গোল করেন ফিল ফোডেন। কিন্তু ভিএআরে দেখা যায় ফোডেন অফসাইডে ছিলেন। গোল বাতিল করেন রেফারি। ম্যাচে আর ফিরে আসা হয়নি ইংল্যান্ডের।

৫৫ মিনিটে ইংলিশ ডিফেন্ডারের ভুলে ফাঁকা জায়গায় বল পান স্টেরেলেক। গোলরক্ষক সামনে এগিয়ে আসলেও তার মাথার উপর দিয়ে গোল করতে পারেননি এই স্লোভাক ফুটবলার। ৬৬ মিনিটে ট্রিপিয়ারকে বদল করে কোল পালমারকে নামান কোচ।

৭৮ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ডি-বক্সের ভেতর ফ্রি হেড করেন কেইন। কিন্তু সহজ সুযোগ মিস করে অন টার্গেটে শট নিতে ব্যর্থ হন তিনি। ৮১ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্তটি আসে ইংলিশদের জন্য। ডি-বক্সের বাইরে দেখে ডেকলাইন রাইসের শট গোলবারে লেগে প্রতিহত হলে গোলবঞ্চিত হয় তারা।

১-০ গোলের পরাজয়ে শেষ ষোলো থেকেই বিদায়ের প্রহর গুনছে ইংল্যান্ড। ঠিক তখনই ৯৬ মিনিটে বাইসাইকেল কিকে গোল করে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান লা লিগার প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার বেলিংহ্যাম। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত সেই লিড পায় ইংল্যান্ড। হ্যারি কেইনের হেডে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইংলিশরা। ১০৬ মিনিটের মাথায় দারুণ সুযোগ পেয়েছিল স্লোভাকিয়া ম্যাচে সমতায় ফেরার। কিন্তু পেকারিকের শট চলে যায় সামান্য বাইরে দিয়ে।

শেষ দিকে ইংলিশ শিবিরে গোলের জন্য আক্রমণ বাড়াতে থাকে স্লোভাকিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই ইংল্যান্ড চলে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। শেষ আটে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM