চলতি বছরের গেল জুন মাসে ২৯৬ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। একই মাসে মোট ৪১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
তাছাড়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১১টি এবং ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনা ঘটে তিনটি। এর মধ্যে ছয় জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
গতকাল রোববার মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)-এর মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এবং সংগঠন কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে এমএসএফ গণমাধ্যমে পাঠানো প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার ৪১ জনের মধ্যে ছয় জন শিশু, ১৮ জন কিশোরী রয়েছে, অন্যদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে পাঁচ জন কিশোরী ও ছয় জন নারী এবং ধর্ষণ ও হত্যার শিকার দুই জন শিশু ও এক জন প্রতিবন্ধী নারী।
এ সময় ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় ২৭টি, যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে ২৬টি। শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ৪১টি।
এ সময় এক জন শিশু, ১৯ জন কিশোরী ও ৪১ জন নারীসহ মোট ৬১ জন আত্মহত্যা করেছে। এ মাসে অপহরণের শিকার হয়েছে দুই জন কিশোরী অন্যদিকে চার জন কিশোরী নিখোঁজ রয়েছে।
এছাড়া জুন মাসে তিন জন শিশু, চার জন কিশোরী ও আট জন নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ সময় মোট ৭৬ জন শিশু, কিশোরী ও নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ২৭ জন শিশু ও কিশোরী রয়েছেন।
গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিশোধ, পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, প্রেমঘটিত, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া ও অভিমান ইত্যাদি কারণে এগুলো সংঘটিত হয়েছে।
এ মাসে তিন জন মৃত ও এক জন জীবিত মোট চার জন নবজাতক শিশুকে বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে, যা অমানবিক ও নিন্দনীয়।
এই শিশুদেরকে কী কারণে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা নিরূপণের চেষ্টা করছে না।
জেএন/পিআর