দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদায় ভেসে উঠছে একটির পর একটি মৃত মা মাছ। এতে উদ্বিগ্ন ডিম সংগ্রহকারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
গত ১০ দিনে হালদা থেকে পাঁচটি বড় মা মাছ মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া মৃত অবস্থায় ভেসে আসা একটি ডলফিন উদ্ধার হয়েছে। হঠাৎ করে এত মাছ মারা যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আকস্মিকভাবে এত মাছের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে দুটি আলাদা কমিটি গঠন করেছে জেলা মৎস্য বিভাগ ও পরিবেশ অধিদফতর।
পরিবেশ অধিদফতর থেকেও পাঁচ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মাছের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান, দূষণ শনাক্ত হলে উৎস খুঁজে বের করা এবং প্রতিরোধে সুপারিশ উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একের পর এক মাছের মৃত্যু প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিসোর্চ সেন্টারের গবেষক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, দশদিনে পাঁচটি মা মাছ এবং একটি ডলফিনের মৃত্যু অবশ্যই অস্বাভাবিক বিষয়। নদীর পরিবেশের অবস্থা যে মারাত্মক, এটা আর বোঝার বাকি নেই। দূষণের কারণে একের পর এক মাছ মারা যাচ্ছে বলে আমরা মনে করছি।
এদিকে, চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য বিভাগ মাছের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফারুক মহিবুল্লাহকে প্রধান করে কমিটিতে মৎস্য বিভাগের আরও চার কর্মকর্তাকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে পনেরো কার্যদিবসের মধ্যে মাছের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান, দূষণ শনাক্ত হলে উৎস খুঁজে বের করা এবং প্রতিরোধে সুপারিশ উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেএন/হিমেল/এমআর