চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসদরের ব্যস্ততম এলাকা থানার মোড়েই রয়েছে প্রাচীনতম খাবারের হোটেল আল মদিনা রেস্টুরেন্ট। যেখানে সকাল-বিকেল-সন্ধ্যা কিংবা রাত, সবসময় লেগে থাকে ভোজন বিলাসীদের ভিড়।
প্রায়ঃশই তিল ধরনের ঠাঁই থাকে না এ হোটেলে। খাবার খেতে টেবিলের পেছনে চেয়ার ধরেই দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায় অনেককেই।
তবে তারা কেউই কখনো জানতে চেষ্টা করেনি, তারা সুস্বাধু খাবারের আড়ালে কি খাচ্ছেন? নাম করা হোটেলটির খাবারের পরিবেশ কেমন,কিংবা কিভাবেই তৈরি বা পরিবেশন করা হচ্ছে খাবার।
জানলে হয়তো চিরচেনা ভিড়টি আর দেখা যাবে না। মুখ ফিরিয়ে নেবেন অনেকে। তবে এবার সেসব ভোজন বিলাসীদের অন্ধ বিশ্বাসে চির ধরিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার (১ জুলাই) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তারের নের্তৃত্বে পরিচালিত তদারকিমূলক অভিযানে ধরা পড়েছে হোটেলটির নানান অনিয়ম।
মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছাড়া পণ্য সংরক্ষণ, ফ্রিজে পচা-বাসি খাবার ও নিউজ পেপারে খাবার সংরক্ষণে রাখেন ঐতিহ্যবাহি হোটেলটি। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য চরম ক্ষতি করে থাকে।
প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে দিয়ে আল মদিনা রেস্টুরেন্টকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
তাছাড়া একই এলাকায় সিজল বেকারিতেও ধরা পড়ে নানা অসঙ্গতি। মেয়াদোত্তীর্ণ দই, রসমালাই বিক্রি এবং উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ছাড়া পণ্য সংরক্ষণ করার দায়ে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয় সিজলকে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভোক্তা অধিকারের চট্টগ্রাম জেলা সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার জানান, এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেএন/পিআর