চট্টগ্রাম নগর ও নিজ এলাকার টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থী সৈয়দ হাসান মারুফ রুমি।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনের এই প্রার্থী নির্বাচনি প্রচারণায় সরকারি দলের সমর্থকদের বাধা প্রদান ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করা ও জলাবদ্ধতামুক্ত নগর গড়তে ১৯৯৬ সালে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনি ইশতেহার ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন ভাবনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় সৈয়দ হাসান মারুফ রুমি বলেন, ভয়মুক্ত বাংলাদেশ, কার্যকর গণতন্ত্র এবং সকলের জন্য উন্নয়ন এই স্লোগানকে সামনে রেখে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে গণসংহতি আন্দোলন। চট্টগ্রামকে সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত, নারীবান্ধব এবং সর্বোপরি মানবিক মর্যাদার, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ নগর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রস্তাবনা প্রকাশ করেন।
‘পরিবর্তনের আকাঙ্খায় চট্টগ্রাম প্রস্তাবনা’ শীর্ষক ইশতেহারে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নতুন মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্প, ভাড়ার ভিত্তিতে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় না করে আয়তনের ভিত্তিতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি, মাদক আগ্রাসন নিরসনে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া চট্টগ্রামবাসীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা চালু, স্বাস্থ্যসেবার সংখ্যা ও মান বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়াও নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রাম-১০ আসনে কয়েক মাস আগে জন্ডিসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় জলাবদ্ধতা ও কাঠামোগত অপউন্নয়নকে দায়ী করে টেকসই উন্নয়নের ঘোষণা দেওয়া হয়। ইশতেহারে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে অদৃশ্য দেয়াল ভেঙে স্বচ্ছতা আনয়ন, চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নয়নে একাধিক পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ স্থাপন, সাংস্কৃতিক ও সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে বিভিন্ন ক্লাব গড়ে তোলার কথা জানান।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী হাসান মারুফ রুমী বলেন, ‘আমি হোল্ডিং ট্যাক্স আন্দোলনে নিজের জীবনের ঝুঁকি ও সন্ত্রাসীদের ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে চট্টগ্রামবাসীকে করের বোঝা থেকে মুক্ত করার আন্দোলনে জনগণকে সংগঠিত করেছি। আমাদের ধারাবাহিক আইনি ও রাজপথের আন্দোলনের ফলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃক আরোপিত বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। নির্বাচিত হলে ভাড়ার ভিত্তিতে নয়, আয়তনের ভিত্তিতে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের ব্যাপারে সংসদে তৎপরতা রাখব। বিশেষজ্ঞ ও সকলের গণতান্ত্রিক মতামত নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি দৃশ্যমান উন্নয়ন প্রকল্পের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নের দিকেই মনোযোগ দেবেন বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন।
গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সদস্য সচিব ফরহাদ জামান জনির সঞ্চালনায় সভায় নির্বাচনি ইশতেহার পাঠ করেন চট্টগ্রাম জেলার নেতা ডা. অপূর্ব নাথ। চট্টগ্রামের উন্নয়ন ভাবনা বিষয় প্রস্তাবনা পাঠ করেন চট্টগ্রামের নেতা ও নির্বাচন সচিব শওকত আলী। গণসংহতি আন্দোলনের নেতা খোরশেদ আলম, ছাত্র ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মির্জা ফখরুল, হাসান মুরাদ শাহ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি