ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১০৭ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী।
মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের হাতরাস জেলায় ওই অনুষ্ঠানে ভক্তদের উদ্দেশে ধর্মীয় বক্তব্য দিচ্ছিলেন এক গুরু। ওই সময় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল মুঘলাগড়ি গ্রামে।
একসঙ্গে প্রচুর মানুষ জমায়েত করেছিলেন ওই সভায়। সেখানে হট্টগোল শুরু হয়। এরপর সবাই এদিক-সেদিক দৌঁড়াতে থাকেন। এ সময় পদদলিত হয়ে অন্তত ১০৭ জন নিহত হয়েছে।
সৎসঙ্গ নামের ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কী কারণে হুড়োহুড়ি হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের শঙ্কা, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও। তাতে দেখা যায়, পড়ে আছে অনেক মরদেহ।
এদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী। হিন্দুস্তান টাইমস নিহতের সংখ্যা ১০৭ জন বললেও আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, এই সংখ্যা ৮৭।
ঠিক কী কারণে হট্টগোল শুরু হয়, তা এখনো জানা যায়নি। তবে, সৎসঙ্গে অংশ নেওয়া এক নারী এনডিটিভিকে বলেন, স্থানীয় এক ধর্মীয় গুরুর সম্মানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওই গুরুর নাম ভোলে বাবা আকা নারায়ণ সাকার হরি। ওই নারীর দাবি, অনুষ্ঠান শেষে সবাই বের হয়ে যাওয়ার সময় পদদলনের ঘটনা ঘটে।
আরেক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইন বলছে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ ঘটনার খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিকন্দরারাউ হাসপাতালে আহতদের নিয়ে গেলেও সেখানে চিকিৎসা করার মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিল না। হাসপাতালে একজন চিকিৎসক ছিলেন। চিকিৎসার গাফিলতিরও অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
জেএন/পিআর