রোমানিয়া এমন গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল যে গ্রুপে ছিল বেলজিয়াম ইউক্রেনের মতো দল। ২০০০ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউরোর নকআউট পর্বে খেলতে আসে তারা। তবে রোমানিয়ার সেই স্বপ্নযাত্রা বেশিদূর এগোতে পারেনি।
শেষ ষোলোতে নেদারল্যান্ডসের সামনে পড়াতে খেই হারিয়ে ফেলে রোমানিয়া। ডাচদের দারুণ ফুটবলের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে তাদের কাউন্টার এটাক ফুটবল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে হেরে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হলো রোমানিয়াকে।
মিউনিখে ম্যাচের ৬ষ্ঠ মিনিটে ডাচ ফুটবলার জাভি সিমন্সের দারুণ শট রুখে দেন রোমানিয়ার গোলরক্ষক ফ্লোরিন নিতা। ম্যাচের ১৪ নিনিটে গোলের সুযোগ পায় রোমানিয়া। ডেনিস ম্যানের শট গোলবার ঘেষে চলে গেলে হাফ ছেড়ে বাঁচে ডাচরা।
ম্যাচের ২০ মিনিটেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। জাভি সিমন্সের দারুণ পাস থেকে ডান দিক থেকে বল নিয়ে ভেতরে ঢোকেন কডি গাকপো। ডি- বক্সের ভেতর ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দলকে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। এতে চলতি ইউরোতে ৩ গোল করে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন গাকপো।
২৬ মিনিটে আবারও সুযোগ পায় নেদারল্যান্ডস। এবার স্টিফেন ডি ভ্রিজের হেড সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।
বিরতি থেকে ফিরে রোমানিয়া গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে। ৫৪ নিনিটে ডাচদের বদলি খেলোয়াড় ডনিয়েল মালেন ডান পায়ের দূরপাল্লার শট নিলেও তা গোলের দেখা পায়নি। ৫৮ মিনিটে ভির্গিল ফন ডাইকের হেড গোলবারে লেগে প্রতিহত না হলে তখনই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারতো ডাচরা।
৬৩ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের হয়ে আবারও গোল করেন গাকপো। তবে ভিএআরে অফসাইড প্রমাণিত হওয়ার কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ৭৩ মিনিটে বাঁ পাশ থেকে ভারমেনের ডান পায়ের শট এক ইঞ্চি বাইরে দিয়ে চলে যায়।
৮৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেদারল্যান্ডস। এবার স্কোরশিটে নাম লেখান মালেন। গোললাইন থেকে বল নিয়ে ভেতরে ঢোকেন গাকপো। ডি-বক্সে থাকা মালেনের কাছে বল বাড়িয়ে দিলে জাকে জড়ান মালেন। ডাচরা পায় ২-০ গোলের লিড। ২ মিনিট পর মেম্ফিস ডেপায়ের হেড গোলবার ঘেষে বাইরে চলে যায়।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ৩ মিনিটের মাথা কাউন্টার এটাক থেকে বল একাই টেনে নিয়ে ভেতরে ঢুকে ডান পায়ের দারুণ শটে গোলকিপারকে বোকা বানান মালেন। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০। অবশেষে দারুণ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হলো রোমানিয়াকে।
জেএন/এমআর