ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নয় ছয় মাস ধরে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ হাজারের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৮৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বৃহস্পতিবার জানায়, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৫৩। অন্যদিকে হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮৭ হাজার ২৬৬ জন।
সর্বশেষ খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের কাছে একটি পাঁচতলা ভবনে ইসরায়েলি হামলায় সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের জন্য জাতিসংঘ অফিসের প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো বলেছেন, ‘গাজায় কোথাও কেউ নিরাপদ নয়। ভূখণ্ডটি একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে যেখানে ‘মানুষ নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পায় না।’
হামাস বলেছে যে, তাদের নেতা ইসমাইল হানিয়া যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তির বিষয়ে কাতার এবং মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
ইসরায়েল হামাসের মন্তব্যের মূল্যায়ন করছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ‘জবাব জানাবে’ বলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
হামাসের ওই হামলায় নিহত হয় ১২ শর মতো ইসরায়েলি। ওইদিন দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসেন সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।
ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু দখলদার দেশ ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনা। ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
জেএন/এমআর