দুদকের জালে ডজন খানেক কর্মকর্তা

সাদিক অ্যাগ্রোকে নিলাম ছাড়া দেওয়া হয় ৪৪৮ গরু

অনলাইন ডেস্ক

নিষিদ্ধ ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরুসহ ৪৪৮টি গবাদিপশু জবাই করে ৬০০ টাকা কেজি দরে— ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি করতে ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনকে নিলামের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল। এতদিন সাধারণ মানুষ কিংবা দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম সেটাই জানত। কিন্তু অনুসন্ধানে এবার বেরিয়ে এলো উল্টো তথ্য।

- Advertisement -

জানা গেছে, ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেন নিলাম ছাড়াই সরাসরি ওই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। দুদকের চোখে এমন প্রক্রিয়ার যথেষ্ট অসঙ্গতি মনে হলেও, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে জনস্বার্থে বুক ভ্যালু পদ্ধতিতে ৪৪৮টি গরু জবাই ও মাংস বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

- Advertisement -google news follower

অথচ সরকারি যে কোনো সম্পদ বা পণ্য বিক্রয় কিংবা বিতরণে অবশ্যই দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণে বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পৃথক একটি টিম খামারবাড়ি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল ২০২১ সালে জব্দকৃত নিষিদ্ধ ১৫ ব্রাহমা গরু পরিপালন-জবাই দেওয়া পর্যন্ত কোন কোন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন এবং কার কার দায়িত্ব অবহেলা ছিল তা খতিয়ে দেখা।

- Advertisement -islamibank

অভিযানকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হকসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেয় টিম। যদিও সন্তোষজনক বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবারের (৪ জুলাই) অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, আজকের বিষয়টি মূলত অভিযান বলা যায় না। বলতে পারেন প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বক্তব্য কিংবা সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্য দুদক টিম গিয়েছিল।

অন্যদিকে এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিক পর্যবেক্ষণে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলা পাওয়া গেছে। দুদকের অনুসন্ধানে সুলভ মূল্যে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে চলতি বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার থেকে আমদানি ও বেসরকারি পর্যায়ে উৎপাদন নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের ১৫টি গরুসহ বিভিন্ন জাতের ৪৪৮টি গরু জবাই দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া অসঙ্গতি ও অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে।

যার মধ্যে রয়েছে ব্রাহমা গরু জবাই না করে অন্য জাতের গরু জবাই করা, পরবর্তীতে কোরবানী ঈদে চড়া দামে বিক্রি করা, নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরুর সিমিন বিক্রি করা ইত্যাদি। আজ দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন নাই। দুদক টিম বক্তব্য ও নথিপত্র যাচাই-বাচাই শেষ আইনী পদক্ষেপে দুই সরকারি অফিসের ডজন কর্মকর্তা মামলার আসামি হতে পারেন।

দুদক টিম কেন প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরে এসেছিল জানতে চাইলে অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পল্লব কুমার দত্ত বলেন, দুদকের একটি টিম আজ (বৃহস্পতিবার) এসেছিল। তারা ব্রাহমা গরুসহ সংশ্লিষ্ট গরু বিতরণের নথিপত্র সংগ্রহ করতে এসেছিল। তারা কাগজপত্র নিয়ে গেছে।

অন্যদিকে ৪৪৮টি গরু নিলামে না দিয়ে কেন বুক ভ্যালু পদ্ধতিতে ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন তথা সাদিক অ্যাগ্রোকে দেওয়া হয়েছিল জানতে চাইলে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মলয় কুমার শূর বলেন, আসলে জনস্বার্থে চাইলে বুক ভ্যালু পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। এখানে আইনের ব্যত্যয় হয় না। ৪৪৮টি গরু বুকভ্যালু পদ্ধতি মূলত ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনকে দেওয়া হয়েছিল। সাদিক অ্যাগ্রোকে নয়। বিস্তারিত ডিজি সাহেব বলতে পারবেন, কারণ দুদক টিম যখন এসেছিল তখন আমি অফিসে ছিলাম না।

বুক ভ্যালু কি?

নিষিদ্ধ ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরুসহ ৪৪৮টি গবাদিপশু জবাই করে ৬০০ টাকা কেজি দরে— ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি করতে ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনকে নিলামের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল। এতদিন সাধারণ মানুষ কিংবা দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম সেটাই জানত। কিন্তু অনুসন্ধানে এবার বেরিয়ে এলো উল্টো তথ্য।

জানা গেছে, ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেন নিলাম ছাড়াই সরাসরি ওই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। দুদকের চোখে এমন প্রক্রিয়ার যথেষ্ট অসঙ্গতি মনে হলেও, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে জনস্বার্থে বুক ভ্যালু পদ্ধতিতে ৪৪৮টি গরু জবাই ও মাংস বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

অথচ সরকারি যে কোনো সম্পদ বা পণ্য বিক্রয় কিংবা বিতরণে অবশ্যই দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণে বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পৃথক একটি টিম খামারবাড়ি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল ২০২১ সালে জব্দকৃত নিষিদ্ধ ১৫ ব্রাহমা গরু পরিপালন-জবাই দেওয়া পর্যন্ত কোন কোন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন এবং কার কার দায়িত্ব অবহেলা ছিল তা খতিয়ে দেখা।

অভিযানকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হকসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেয় টিম। যদিও সন্তোষজনক বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবারের (৪ জুলাই) অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, আজকের বিষয়টি মূলত অভিযান বলা যায় না। বলতে পারেন প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বক্তব্য কিংবা সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্য দুদক টিম গিয়েছিল।

অন্যদিকে এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, সার্বিক পর্যবেক্ষণে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলা পাওয়া গেছে। দুদকের অনুসন্ধানে সুলভ মূল্যে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে চলতি বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার থেকে আমদানি ও বেসরকারি পর্যায়ে উৎপাদন নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের ১৫টি গরুসহ বিভিন্ন জাতের ৪৪৮টি গরু জবাই দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া অসঙ্গতি ও অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে।

যার মধ্যে রয়েছে ব্রাহমা গরু জবাই না করে অন্য জাতের গরু জবাই করা, পরবর্তীতে কোরবানী ঈদে চড়া দামে বিক্রি করা, নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরুর সিমিন বিক্রি করা ইত্যাদি। আজ দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে পারেন নাই। দুদক টিম বক্তব্য ও নথিপত্র যাচাই-বাচাই শেষ আইনী পদক্ষেপে দুই সরকারি অফিসের ডজন কর্মকর্তা মামলার আসামি হতে পারেন।

দুদক টিম কেন প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরে এসেছিল জানতে চাইলে অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পল্লব কুমার দত্ত বলেন, দুদকের একটি টিম আজ (বৃহস্পতিবার) এসেছিল। তারা ব্রাহমা গরুসহ সংশ্লিষ্ট গরু বিতরণের নথিপত্র সংগ্রহ করতে এসেছিল। তারা কাগজপত্র নিয়ে গেছে।

অন্যদিকে ৪৪৮টি গরু নিলামে না দিয়ে কেন বুক ভ্যালু পদ্ধতিতে ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন তথা সাদিক অ্যাগ্রোকে দেওয়া হয়েছিল জানতে চাইলে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মলয় কুমার শূর বলেন, আসলে জনস্বার্থে চাইলে বুক ভ্যালু পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়। এখানে আইনের ব্যত্যয় হয় না। ৪৪৮টি গরু বুকভ্যালু পদ্ধতি মূলত ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনকে দেওয়া হয়েছিল। সাদিক অ্যাগ্রোকে নয়। বিস্তারিত ডিজি সাহেব বলতে পারবেন, কারণ দুদক টিম যখন এসেছিল তখন আমি অফিসে ছিলাম না।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM