উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আরো একবার নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চট্টগ্রামের জয় হোক। আরেকবার নৌকায় ভোট দিন, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত-উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আপনাদের উপহার দেব।
‘উন্নয়নের ধারায় বাংলাদেশের জয়যাত্রায় ভোট দিন নৌকায়’স্লোগানে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচিতি সভায় তিনি এই আহ্বান জানান। বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টায় লালদিঘী ময়দানে গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মহাজোটের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ৩০ ডিসেম্বর সবাইকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
এই নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচনে আপনাদেরই (দেশবাসী) সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান? আবারও জঙ্গিবাদ, বাংলাভাই, একই দিনে পাঁচশ’স্থানে বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, সন্ত্রাস, দুর্নীতির মতো অতীতের অন্ধকারের দিকে ফিরে যাবেন, নাকি জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-মাদক-দুর্নীতিমুক্ত বর্তমানের উন্নয়নের আলোর পথেই থাকবেন? সেই সিদ্ধান্ত আপনাদেরই নিতে হবে। আবারও নৌকায় ভোট দিন, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত-উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আপনাদের উপহার দেব। প্রত্যেক গ্রামকে আমরা শহরে পরিণত করব।
জনসভায় শেখ হাসিনা বলেন, খুনি, সন্ত্রাসী, বিদেশে অর্থপাচারকারী, অগ্নিসন্ত্রাসকারী, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী, স্বাধীনতাবিরোধী ও এতিমের টাকা আত্মসাতকারীরা (বিএনপি-জামায়াত) আর যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারে, দেশকে আবারও ধ্বংস করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত তরুণ সমাজের জন্য উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনই আমাদের মূল লক্ষ্য। নির্বাচনে বিজয়ী হলে তরুণ সমাজ বিশেষ করে আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মহাজোটের প্রার্থী চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম–২ (ফটিকছড়ি) সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী (তরিকত ফেডারেশন), চট্টগ্রাম–৩ (সন্দ্বীপ) মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড) দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম–৫ (হাটহাজারী) আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (লাঙ্গল), চট্টগ্রাম–৬ (রাউজান) এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী) মইন উদ্দীন খান বাদল (বাংলাদেশ জাসদ), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি) মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম–১০ (ডবলমুরিং) আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম–১১ (বন্দর) এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম–১২ (পটিয়া) সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম–১৪ (চন্দনাইশ) নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম–১৫ (সাতকানিয়া) আব রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন, চট্টগ্রাম–১৬ (বাঁশখালী) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ওয়াশিকা আয়েশা খান।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক শফর আলী, নগর শ্রমিক লীগের সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান, যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দীন বাচ্চু ও আওয়ামী লীগ নেতা অহীদ সিরাজ চৌধুরী।