এবার সামাজিক নানা সূচকের মতো দুর্নীতির তথ্যও আনুষ্ঠানিকভাবে সংগ্রহ করতে যাচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)।
যার আওতায় থাকবে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির নানা তথ্য। সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে যা নেয়া হবে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে।
যদিও এমন উদ্যোগে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজিরকাণ্ড থেকে এনবিআরের মতিউর, এরপর পিএসসির প্রশ্ন ফাঁস- একের পর এক দুর্নীতির খবরে চারিদিকে যখন জোর আলোচনা তখনই এলো নতুন খবর।
অর্থনীতি, কৃষি ও সামাজিক নানা সূচকের মতো দুর্নীতির তথ্যও আনুষ্ঠানিকভাবে সংগ্রহ করতে চায় সরকারি প্রতিষ্ঠান বিবিএস।
যার আওতায় থাকবে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির নানা তথ্য। সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে যা নেয়া হবে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে। পরে পাঠানো হবে সরকারের নীতি নির্ধারকদের কাছে।
এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে রূপরেখা। যা উপস্থাপন করা হয় জাতীয় পরিসংখ্যান উপদেষ্টা পরিষদের সভায়।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিবিএস মানদণ্ড বজায় রাখবে এটি আমরা প্রত্যাশা রাখবো। যাতে এই ধরণের জরিপ কোনো প্রশ্নবিদ্ধ হতে না পারে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, সর্ভে করে হয় তো এটা বৈধ করা হবে।
বর্তমানে টিআইবিসহ অন্যান্য যেসব সার্ভে করা হয়েছে সব কিছুতে কিন্তু উঠে এসেছে যে আমাদের সব প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি আছে। সেবা দিচ্ছে না এবং সেবার বিনিময়ে টাকা নিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে সরকার এখনও ডিনায় আছে।
সরকার মনে করছে সরকারের কাছে যেসব তথ্য দেয়া হয় সেটি সরকারকে হেয় বা ছোট করার জন্য করা হচ্ছে। এটি ঠিক না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সভার সুপারিশের ভিত্তিতে ঠিক করা হবে কাজের ধরণ ও তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া। যেখানে বড় জটিলতা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়ের বিষয়টা।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, এই জরিপ যদি নির্ভুলভাবে করা হয় এটাতে একই তথ্য উঠে আসবে যে বাংলাদেশের সবাই মনে করে যে দেশে ব্যাপকহারে দুর্নীতি চলে।
এই ফলাফল না আসার কোনো কারণ নেই। যদি সরকারিভাবে আসে এই ফলাফল তাহলে সরকার এটি অস্বীকার করতে পারবে না।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জরিপ করার মত বিবিএস এর রয়েছে বলে আমরা আশা রাখি।
শিক্ষা, অর্থনীতিসহ সামাজিক নানা সূচকে বিবিএসের তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যেখানে প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা বৃদ্ধির আলোচনাও রয়েছে বিবিএসের চলতি অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনায়।
জেএন/পিআর