চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হয়ে নিজ সংসদীয় এলাকা সন্দ্বীপ যাওয়ার পথে স্পিড বোট দুর্ঘটনার কবলে পড়েন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি ও তার লোকজন।
তবে চালকের দক্ষতায় লাল বোটটি ডুবে যাওয়ার আশংকা থেকে রক্ষা পেলেও আহত হয়েছেন এমপি মিতাসহ ৭ জন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে কুমিরা ফেরিঘাট থেকে অদূরে এ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন তারা।
এ ঘটনায় সংসদ সদস্য মিতা ছাড়াও আহত হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান সুমন, সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত গাড়ী চালক সেলিম ও এমপির সঙ্গীয় আরো চার কর্মী। সংসদ সদস্যের ডানহাতে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পরে ঘটনাটি একটি হত্যা চেষ্টা উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহফুজুর রহমান সুমন। অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ স্পিড বোট চালক অভি দাসকে আটক করেছে। অভি দাস সীতাকুণ্ড উপজেলার বড় কুমিরার দীনবন্ধু দাসের ছেলে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে কুমিরা ফেরীঘাট থেকে স্টীমার আইভি রহমানে উঠতে সন্দ্বীপ চ্যানেলে একটি ইঞ্জিন বোট যোগে এমপি মিতা সহ তার সফর সঙ্গীরা যাচ্ছিলেন।
ওই সময় পিছন থেকে একটি যাত্রীশুন্য স্পিডবোট হঠাৎ সজোরে এমপি আরোহী লাল বোটে ধাক্কা দেয়। মুহুর্তে বোটের মধ্যে তারা ছিটকে পড়েন। লাল বোট চালকের দক্ষতায় তারা রক্ষা পেয়েছেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি ও মামলার বাদী মাহফুজুর রহমান সুমন মামলার আবেদনে এ ঘটনা এমপি ও তাদের হত্যা করার চেষ্টা বলে দাবী করেন।
তিনি বলেন, স্পিড বোটটি যাত্রীশুন্য অবস্থায় দ্রুতবেগে উদ্দেশ্যমূলক আমাদের বোটকে টার্গেট করে সজোরে ধাক্কা দেয়। এটি সংসদ সদস্য মহোদয়কে টার্গেট করে একটি ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে মনে করি।
মামলার তদন্তে সব কিছু বেরিয়ে আসবে।
জেএন/পিআর