চলমান সংঘর্ষের মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফে আবারও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) অন্তত ১০০ সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সীমান্তের সাবরাংয়ের তিনটি পয়েন্ট দিয়ে তারা অনুপ্রবেশ করেন। পরে তাদের হেফাজতে নেন বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানান, নতুন করে মিয়ানমারের বেশ কয়েকজন সেনা ও বিজিপি সদস্য এপারে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জেনেছি। বর্তমানে তারা বিজিবি ও কোস্টগার্ডের হেফাজতে রয়েছেন। সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক রয়েছে।
তবে বিজিপি সদস্যদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে আজ সকাল থেকে সীমান্তে গোলার শব্দ কমে গেছে। অথচ বুধবার রাতভর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তার সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে মর্টারশেল ও ভারী গোলার বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে টেকনাফ। সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর সীমান্ত একটু শান্ত মনে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গোলার কোনো শব্দ পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ নৌ-পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, গোলাগুলি না হলেও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে তারা সতর্ক রয়েছেন।
জেএন/এমআর