চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগ,আউটডোর-ইনডোরসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, এনডিসি। এসময় অতিরিক্ত সচিবকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেনারেল হাসপাতলের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিকস) ডা. অজয় দাশ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোঃ ইফতেখার আহমদ, সাবেক বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোঃ মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব স্নেহাশীষ দাশ, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, জুনিয়র কনসালট্যান্ট, মেডিকেল অফিসারবৃন্দ ও গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাগণ অতিরিক্ত সচিবের সাথে ছিলেন।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, এনডিসি হাসপাতালের আউট ডোর-ইনডোর, মেডিসিন ও সার্জারীসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং চিকিৎসা-সেবার মান আরও কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। পরে তিনি হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে চিকিৎসকদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
জেনারেল হাসপাতলের ভারপ্রাপ্ত তত্তাবধায়ক ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিকস) ডা. অজয় দাশ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্তাবধায়কের বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এনডিসি বলেন, হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হলেও চিকিৎসাসামগ্রী ও জনবল হয়েছে ১০০ শয্যার। হাসপাতালের ইমার্জেন্সী সার্ভিস আরও বেগবান করতে বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর যেখানে লোকবলের কোন সমস্যা নেই সেখান থেকে কিছু কিছু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী এ হাসপাতালে সংযুক্তিতে দেয়া যায় কি না সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। হাসপাতালের জনবল ও যন্ত্রপাতি সংকটের বিষয়ে তালিকা প্রেরণের নির্দেশ দেন তিনি।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, জেনারেল হাসপাতালটি চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এ হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করে শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তরের বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে। এজন্য এটির গুরুত্ব বিবেচনায় এখানে প্রথমত নতুন ১০ তলা বহুতল ভবন ও পরবর্তীতে ২০ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর কথা শোনা গিয়েছিল। প্রস্তাবনার ডকুমেন্টগুলো পূনঃরায় মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করলে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে সমাধানের চেষ্টা করবো। একইসাথে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ব্যাপারেও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। বহুতল ভবন নির্মাণ হয়ে গেলে পর্যায়ক্রমে সব ধরণের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, এনডিসি।
জেএন/এমআর