বোয়ালখালীতে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক সবুজ চক্রবর্তীকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক ছাত্রীর অভিভাবক বাদী হয়ে বোয়ালখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের পর পুলিশ সবুজকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযুক্ত সবুজ চক্রবর্তী অভিজিৎ পটিয়া উপজেলার কেলিশহর গ্রামের সরোজ মাষ্টার বাড়ির গৌরি শংকর চক্রবর্তীর ছেলে।
সে ২০২১ সালে কধুরখীল ইউনাইটেড মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে এমপিওভুক্ত কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসেবে যোগদানের পর বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে “ক্যানভাস টিচিং হোম” নামীয় একটি কোচিং সেন্টার খুলে।
অভিযোগ রয়েছে, সবুজ কোচিং সেন্টারের ছাত্রীদের ব্ল্যাক মেইল ও প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতো। বেশ কিছুদিন ধরে এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসলেও চার ছাত্রী অভিযোগ দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
গত ৯ জুলাই সবুজের কোচিং সেন্টারের চার ছাত্রী বিচার চেয়ে কধুরখীল ইউনাইটেড মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। ওইদিনই সবুজ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের সামনে সবুজের বিচার চেয়ে একাধিকবার বিক্ষোভ করেছেন।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছহাব উদ্দিন বলেন, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সবুজের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযান চালিয়ে আসামী সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, এজাহারে ভিকটিমকে কোচিং সেন্টারে গত ২৫ মার্চ ও ৩ এপ্রিল শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করার কথা জানা গেছে।
জেএন/পূজন/এমআর