পৃথিবীর দীর্ঘতম (১২০ কিলোমিটার) প্রাকৃতিক সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে গেল এক সপ্তাহ কেটেছে পর্যটক খরায়।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও চলমান কারফিউয়ের কারণেই পর্যটকশূন্য বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম এ সমুদ্রসৈকতে।
গতকাল (বুধবার) বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দেখা গেছে সুনসান নীরবতা। ব্যস্ততা নেই সৈকতের ফটোগ্রাফার, বিচ বাইক-ওয়াটার বাইক চালক ও ঘোড়াওয়ালাদের। একই সঙ্গে বালিয়াড়িতে খালি পড়ে আছে কিটকটগুলো। হোটেল গুলোতে তালা ঝুলছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, গেল এক সপ্তাহে কক্সবাজারের পর্যটনের সবখাতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক বেকার হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, চলমান কারফিউ ও কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অস্থিরতায় কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজার পর্যটন শিল্প।
কক্সবাজারে সাড়ে ৪০০ হোটেলে ও গেস্ট হাউসে ৭দিনে ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি রেস্তোরাঁ অন্যান্য গুলোতে ৫০ কোটি টাকা। এভাবেই চলতে থাকলে অনেক হোটেল শ্রমিক তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে পারে।
কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, প্রতিদিন কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। এই মুহূর্তেকক্সবাজারে পর্যটক নেই।
যা ছিল গতকাল সেনাবাহিনীর পাহারায় ৭১টি বাসে করে ফিরে গেছে। দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে প্রায় সব হোটেল-মোটেল বন্ধ হয়ে যাবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, কক্সবাজার এই মুহূর্তে তেমন পর্যটক নেই।
যারা কক্সবাজার ভ্রমণে এসে আটকা পড়েছিল তাদের গতকাল সেনাবাহিনীর পাহারায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজারে নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা।
জেএন/পিআর