চার বছর আগে জামিনে ছাড়া পেয়ে পলাতক চট্টগ্রামের অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ারকে আবারো গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
বহদ্দারহাট এলাকায় ১৮ জুলাই কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবির গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত সরোয়ারের নাম চট্টগ্রাম পুলিশের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসীর’ তালিকায় আছে।
গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে তাঁকে চট্টগ্রাম নগরীর অনন্যা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির আরও বলেন, গত ১৮ জুলাই বহদ্দারহাটে সংঘটিত শিক্ষার্থীদের আন্দালনে সংঘর্ষের ঘটনায় তাঁর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
গোপন সূত্রে জানতে পারি সে অনন্যা আবাসিক এলাকার একটি নির্জন বাড়িতে আত্মগোপন করে রয়েছে। চান্দগাঁও থানা পুলিশের একটি টিম তথ্যমতে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালায়। অভিযানে গ্রেফতার হয় তালিকাভুক্ত এ শীর্ষ সন্ত্রাসী।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার সরোয়ার বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার খোন্দকারপাড়ার আবদুল কাদেরের ছেলে। ২০০০ সালে চট্টগ্রামে আট ছাত্রলীগ নেতা খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাজ্জাদ আলী খানের অন্যতম সহযোগী সরোয়ার।
তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৪টি মামলা রয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সরোয়ারকে আটক করেছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
পরদিন তাকে চট্টগ্রামে এনে বায়েজিদ থানার খন্দকীয়া পাড়ায় তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৩০ রাউন্ড গুলিসহ একটি একে-২২ রাইফেল, চার রাউন্ড গুলিসহ একটি এলজি উদ্ধার করা হয়।
পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে পলাতক ছিলেন তিনি। বর্তমানে সব মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।
গত ১৮ জুলাই বহদ্দারহাট পুলিশ বক্স পোড়ানো, পুলিশের ওপর আক্রমণ, হত্যা এবং গোলাগুলির ঘটনার প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে শনিবার রাতে ফের গ্রেফতার হয় সরোয়ার।
চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ড আবেদন জানানো হবে।
জেএন/পিআর