আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৪ দলের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পদক্ষেপ শুরু হয়েছে।
আইনের ফাঁক গলে জামায়াত যেন কোনভাবে পার না পেতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় এসব কথা জানান কাদের।
বলেন, ‘জামায়াত ধর্মের মুখোশ পরা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। বিভিন্ন সময় তাদের নাশকতা, সহিংসতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রমাণিত হয়েছে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পর সারাদেশে গ্রেপ্তারের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের জানা মতে নিরপরাধ কাউকে আটক করা হচ্ছে না। অতি উৎসাহী হয়ে কেউ যেন নিরপরাধ ব্যক্তিদের হয়রানি না করে সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের আটকের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছেন বলেও অভিযোগ করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবদের কাছে আবার সবাই নিরপরাধ, সবাই অসহায়।
তাহলে প্রশ্ন, এই ধ্বংসযজ্ঞ চালালো কারা? কারা অগ্নিসংযোগ করলো? আজকে বাংলাদেশে যে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে, এগুলো কারা করেছে? আজকে কথায় কথায় সরকার ও আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করা হয়।
আমি পরিষ্কার বলতে চাই, এই ঘটনাপ্রবাহে আমরা আক্রান্ত, আমরা আক্রমণকারী ছিলাম না। এখন অপবাদ দেওয়া হচ্ছে আক্রান্তদের।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের আটক নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন অভিযোগ করে তিনি নিরীহ কোনো ব্যক্তি যেন আটক না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানান। বলেন, শুধু সংখ্যা বাড়ানোর জন্য যেন কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয় সে ব্যাপারে আমরা সবাইকে সতর্ক করেছি।
কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের দৃষ্টিতে সবাই নিরপরাধ হলে দেশে এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ করেছে কারা? যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য করছে ফখরুলরা। কারাগারের অস্ত্র লুট করেছে ফখরুলের বন্ধুরা।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের কারফিউ মেনে চলা ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
জেএন/পিআর