ফুরালো সব আয়োজন। বৃষ্টিস্নাত বিদায়ের দিনে তবু ফুরালো কী ব্যাণ্ড সংগীতের এই স্টাইলিশ আইকনের যত প্রয়োজন…। বনানী কবরস্থানে, বাবার কবরে চিরঘুমে ঘুমালেন শিল্পী শাফিন আহমেদ।
পাশে মা ফিরোজা বেগমের কবর। শাফিন আহমেদ শায়িত হলেন বাবা কমল দাশগুপ্তের করবে। তার পাশে বিদীর্ণ হৃদয় নিয়ে বসে থাকলেন বড় ভাই হামিন আহমেদ। ছিলেন ভাই তাহসিন আহমেদ, স্বজন এবং মাইলস সদস্যরা।
এর আগে গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এই ব্যান্ড তারকার নামাজে জানাজা। পরে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শাফিন আহমেদের নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানী কবরস্থানে। তাতে যোগ দিয়ে দীর্ঘ দিনের সহযাত্রীরা বলেন, তার মৃত্যুতে ব্যান্ড সংগীতের অপূরণীয় ক্ষতির কথা।
গেলো ২৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় মারা যান এই ব্যান্ড তারকা। চার দিন পর মাতৃভূমিতে শাফিন আহমেদের মরদেহ ফিরেছে সোমবার (২৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে পাঁচটায়।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের গান শোনাতে গত ৯ জুলাই ঢাকা ছাড়েন শাফিন। দ্বিতীয় কনসার্ট ছিল ২০ জুলাই, ভার্জিনিয়ায়। সেই শোয়ের মঞ্চে ওঠার খানিক আগেই হোটেল রুমে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
হাসপাতালে ভর্তি, লাইফ সাপোর্ট এবং ২৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় ঠিক ভোর ৬টা ৯ মিনিটে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনের দুই মহারথী সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং সুরকার কমল দাশগুপ্তের ছেলে শাফিন নিজে ছিলেন বেইজ গিটারিস্ট, সুরকার এবং গায়ক। ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম।
মাইলসের জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘প্রথম প্রেমের মতো’, ‘গুঞ্জন শুনি’, ‘সে কোন দরদিয়া’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘কি যাদু’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘হৃদয়হীনা’, ‘স্বপ্নভঙ্গ’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘পিয়াসী মন’, ‘বলব না তোমাকে’, ‘জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন’ ও ‘প্রিয়তমা মেঘ’সহ বহু গান।
জেএন/পিআর