মিয়ানমারে চলমান জরুরি অবস্থার মেয়াদ ফের ৬ মাস বৃদ্ধি করেছে দেশটির জান্তা সরকার। বুধবার (৩১ জুলাই) এ সম্পর্কিত ঘোষণা দিয়েছেন জান্তা সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি মিন অং হ্লাইং।
তিনি বলেন, দেশে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে তার সরকারের আরও সময় প্রয়োজন।
মিয়ানমারের গণমাধ্যম দ্য ইরাবতী এক প্রতিবেদনে জানায়, রাজধানী নিপিদোতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রণাধীন ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনডিএসসি) এক বৈঠকে জান্তাপ্রধান বলেন, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করার পর তার সরকারের পরিকল্পনা ছিল দুই বছরের জরুরি অবস্থা শেষ হলে একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
কিন্তু চলমান অস্থিরতার কারণে গণতান্ত্রিক নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
জান্তাপ্রধান আরও বলেন, ২০২৫ সালের সম্ভাব্য নির্বাচনের জন্য ‘সঠিক’ ভোটার তালিকা নিশ্চিত করার জন্য দেশব্যাপী একটা আদমশুমারি করা প্রয়োজন। এজন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এ সময় জরুরি অবস্থার পক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি। বলেন, সেনা অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে বেসামরিক ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট, এর সশস্ত্র শাখা পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং অন্যান্য জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে’র কারণে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা আরোপ করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মিয়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে সামরিক বাহিনী।
সেই সময় দেশটির গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করে গৃহবন্দি করে জান্তা সরকার। তখন থেকেই দেশটিতে জান্তা বিরোধী বিক্ষোভ-প্রতিবাদ অব্যাহত আছে। তখন থেকে প্রতি ছয় মাস পর পর জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে জান্তা।
দেশটিতে শুরু হওয়া প্রতিবাদ আন্দোলন বর্তমানে সশস্ত্র বিদ্রোহে রূপান্তরিত হয়েছে। এই বিদ্রোহী এখন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সব ফ্রন্টেই; যা সেনা জেনারেলদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জেএন/পিআর