স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে, যদি কেউ কোনো নাশকতা ঘটাতে চায় তা মোকাবিলার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে প্রস্তাবনায় সই করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তাদের নিষিদ্ধ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি, কেউ কোনো নাশকতা ঘটাতে চায়, তা মোকাবিলার সক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
প্রজ্ঞাপন জারির আগে সকালে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের অঙ্গসংগঠনের যেসব কর্মী ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছেন, তাদের গণহারে বিচার করা হবে না।
তবে এই দলের অধীন তারা রাজনীতি করতে পারবেন না। তারা যদি বাংলাদেশের কোনো আইনে অপরাধ করে থাকেন, অবশ্যই তাদের বিচার হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেতে পারেন। আন্ডারগ্রাউন্ডে অনেক দল গেছে, তাদের কী হয়েছে, আপনারা নকশালবাড়ির ইতিহাস জানেন।
অনেক দল যেতে পারে আন্ডারগ্রাউন্ডে। কিন্তু আমি বলেছি, সেটাকে মোকাবিলার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে একমত হন নেতারা। এরপর ৩০ জুলাই আইনমন্ত্রী জানান, বুধবারের মধ্যেই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
একইদিন সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের বিষয়টি উঠে আসে।
তবে ওইদিন প্রজ্ঞাপন জারি না হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে সব ধরনের প্রক্রিয়া চলছে। যেকোনো প্রজ্ঞান জারি হবে।
এরপর বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জেএন/পিআর