আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্বস্থিতে থাকা সবজির বাজারে দাম কিছুটা কমে এসেছে।
প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে ডিমও। তবে গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে।
আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দাম দরে এ তথ্য মিলেছে। আজকের বাজারে ঢ্যাঁড়শ, ধুন্দল, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া, করল্লা, কাঁকড়ল, কচুমুখী ৬০ থেকে ৭০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর কেজি এখনো বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। পেঁয়াজের কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাওয়া যাচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায়।
কিছুটা দাম কমেছে ডিমেরও। বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের বাদামি রংয়ের ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা এক সপ্তাহ আগে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকাতেও বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা ও সোনালি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম বেড়ে খুচরা বাজারে এখন প্রতি কেজি মিনিকেট ও কাটারিভোগ ৭০-৭৫ টাকা, জিরাশাইল ৬৮-৭০ টাকা ও ব্রি-২৮ ও ২৯ চাল ৫৮-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত মাসের মাঝখানে কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সহিংসতা ও পরবর্তীতে কারফিউয়ের কারণে পরিবহন সমস্যায় চট্টগ্রাম মানগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য সরবরাহে বিঘ্নের ঘটনায় দাম বেড়ে যায়।
তবে গত কয়েক দিনে কারফিউ শিথিল করায় পণ্য সরবরাহ বেড়েছে। এরপরও চালের দাম কমেনি। এজন্য খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন মিল মালিকদের।
চালকল মালিকরা দাবি করছেন, বেশি দামে ধান কিনে চাল উৎপাদন করতে খরচ বেশি পড়ছে। যে কারণে চালের দাম বেড়েছে।
এদিকে ইলিশের ভরা মৌসুমেও বাজারে কাঙ্ক্ষিত দামে মিলছে না মাছটি। যে কারণে অন্যান্য মাছের দামও তুলনামূলক বেশি।
বাজারে ৬০০ টাকার নিচে ছোট জাটকা ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে না। ৭০০-৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। ১ কেজি ওজন হলে ১২০০-১৫০০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
জেএন/পিআর